সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৬০৫ শিক্ষকের পদ খালি

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে দুই হাজার ৬০৫ শিক্ষকের পদ খালি বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে পাঁচ হাজার ৫৮৯টি অনুমোদিত ক্যাডার পদের বিপরীতে শূন্য পদ দুই হাজার ৬০৫টি। সংযুক্ত হিসাবে কর্মরত এক হাজার ৩৬৯ জন। মেডিকেল কলেজগুলোতে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। মেডিকেল কলেজের প্রভাষক পদে মেডিকেল অফিসার হতে বিষয়ভিত্তিক পদায়ন করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ হতে বেসিক বিষয়ে চলতি দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে ৩৬৯ জনকে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পদায়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দুই হাজার ছয়শ’ শয্যার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার ফলে এই হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে কিছুটা অসুবিধা হয়। তবে সরকার রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ডিএমসির শয্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বমোট বেড ১৯ হাজার ৩০০টি। উপজেলা হাসপাতালগুলো পরিচালনার জন্য ওষুধপত্রসহ এমএসআর খাতে বেড অকুপেন্সি রেট অনুয়ায়ী রাজস্ব বাজেট থেকে বছরে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে এবং বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা ওষুধ বাবদ ব্যয় করা হয়।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে ৪২৯ কোটি,৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ফি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে টিউশন ফি নির্ধারণের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুসরণ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। এ বিষয়গুলো মনিটরিং এর জন্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
টিআই