দেশে ৫ হাজারের স্থলে ২শ’ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিভয়েস রিপোর্ট: কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হওয়ার প্রয়োজন ৫ হাজার, সেখানে মাত্র ২০০ জনের হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ইউরোলজিক্যাল সার্জনস কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। কিডনি চিকিৎসার আরও উন্নতি হওয়া দরকার, যেখানে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হওয়ার প্রয়োজন ৫ হাজার, সেখানে মাত্র ২০০ জনের হচ্ছে। যেসব হাসপাতালে কিডনি বিভাগ নেই, সেখানে কিডনি বিভাগ চালু করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে গেছে। এই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড হলে, মান অনেক বেড়ে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের জনশক্তির ঘাটতি আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। বড় বড় হাসপাতাল, নতুন নতুন বিভাগ ও সাব স্পেশালিটি বিবেচনা করে জনবলের নতুন কাঠামো তৈরি করেছি, যা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এ নিয়ে প্রায় বছর ধরে কাজ চলছে। এটি ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা শিগগিরই বসবো। আমরা যে লোকবল চেয়েছি, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য আমাদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনায় ডাকা হয়। আমরা বলেছি, আমাদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্য সেবায় আমূল পরিবর্তন হবে।’
বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন লাখ জনবল কর্মরত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এটা বৃদ্ধি পেলে তা ছয় লাখে পরিণত হবে। তবে রাতারাতি ছয় লাখ জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রস্তাবনায় কিছু কাটছাঁট হবে। পর্যায়ক্রমে এই জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
এআইডি