বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ পাচ্ছেন দুই চিকিৎসক

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২২ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুই চিকিৎসকসহ দেশের সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এ ফেলোশিপ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০২২’ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
‘বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২২’ প্রাপ্তরা হচ্ছেন- অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক (শিক্ষা), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান (বিজ্ঞান), নাসির আলী মামুন (আলোকচিত্রশিল্প), হামিদুজ্জামান খান (ভাস্কর্য/চিত্রকলা), জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় (সংস্কৃতি), অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন (চিকিৎসা) ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (সমাজসেবা)।
আগামী শুক্রবার বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৫তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২২’ প্রদান করা হবে।
ডা. জাকির হোসেনের পরিচয়
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ডা. জাকির হোসেন ছিলেন কে-৩৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে ডা. জাকির বগুড়া ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি একই মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
ডা. আইভির পরিচয়
আইভী ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে জয় লাভ করে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরি স্কুল, মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়শোনা করেন। ১৯৮৫ সালে রাশিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিকেল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
আইভী শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় পিতার সঙ্গে রাজনীতে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারয়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেন। ২৭ নভেম্বর তিনি দেশের প্রথম নারী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। টানা তিনবারের মতো মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. আইভী।
-
২১ ডিসেম্বর, ২০২২
-
২৯ অক্টোবর, ২০২২
-
২৮ এপ্রিল, ২০২২
-
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
-
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
-
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
-
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
-
২৩ জানুয়ারী, ২০২২
-
১৮ মে, ২০২১
-
১৪ এপ্রিল, ২০২১