শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বইটি লেখা: খুরশীদ আলম

মেডিভয়েস রিপোর্ট: নিজের লেখা বই ‘ডেকোডিং সার্জারি’ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, কোনো কিছুই পরিপূর্ণ হয় না। এর মধ্যে অনেক ভুলত্রুটি আছে, হয়তো আপনারা দেখবেন। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বইটি লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘ডেকোডিং সার্জারি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আজকে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি। যারা প্রতিনিয়ত আমার এই কাজে উৎসাহ দিয়েছেন ও সহযোগীতা করেছেন তাদের প্রতি এবং সহকর্মী ও আমার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, এই বই লেখার কাজ অনেক আগেই শুরু করেছিলাম। ২০১৬ সালে ঢাকা মেডিকেলে কাজ করার সুযোগ পাই, তখন শুরু করেছিলাম একটা সার্জারির টেক্সট বই লিখতে। কিন্তু পরবর্তীতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন এবং আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়ায় মনে হলো, টেক্সট বই শিক্ষার্থীদের কাছে সেভাবে মূল্যায়ন হবে না। পরে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বই’র ফরমেট পরিবর্তন করি এবং বিষয় ধরে ধরে আলোচনা বইয়ে করা হয়েছে।
বই’র দাম সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, বইয়ের দাম আমরা অত্যন্ত কম রাখতে চেষ্টা করেছি। এটা লাভের জন্য করা হয়নি। লোকসান দিয়ে বইটার প্রথম ভলিয়ম বাজারে ছেড়েছিলাম। এ বছর কাগজ রংসহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করেছি বইটা যাতে সাধ্যের মধ্যে থাকে।
তিনি বলেন, গত এক বছর সকাল সন্ধা যখনই সময় পেয়েছি তখনই কাজে বসেছি এবং সকলের সহযোগীতায় কাজটা শেষ করা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে এটা বাস্তবে পরিণত করা সম্ভব হতো না। বইয়ের প্রথম ভলিয়মে যেসব বিষয় বাদ পড়েছে তা দ্বিতীয় ভলিয়মে উল্লেখ করেছি। দ্বিতীয় ভলিয়মে প্রাক্টিকাল বিষয়গুলোকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, মানুষের জন্ম ও মৃত্যু নিশ্চিত। এতে কোনো সন্দেহ নেই। জন্ম ও মৃত্যুর মাঝের সময় আমরা যে কাজটুকু করি তার মধ্যে সততা,স্বচ্ছতা, কর্ম এসবই থেকে যাবে। ‘ডেকোডিং সার্জারি’ বইটা দেখে আমার প্রাণ ভরে যায়। খুবি ভালো লাগে, অভিভূত ও আনন্দিত হচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশে একটা জায়গায় পিছিয়ে আছি। কারিকুলামে সমস্যা আছে, ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ বা ক্লিনিশিয়ান তৈরিতে আমরা পিছিয়ে আছি। সেই জায়াগায় নিশ্চয়ই এই বইটা অনেক কাজে লাগবে। ক্লিনিশিয়ান বানাতে এই বই অনেক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। এই উদ্যোগটা প্রসংশাজনক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অনেকেই যা করতে পারিনি তা আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম পেরেছে। আমি মনে করি নবীন চিকিৎসকরাও বই লিখতে পারবে। যার অনুপ্রেরণা খুরশীদ আলম। তিনি আমাদেরকেও চোখ খুলে দিয়েছেন।

দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
