১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:২০ পিএম

রয়্যাল কলেজের সম্মাননায় ভূষিত অধ্যাপক রাশিদা বেগম

রয়্যাল কলেজের সম্মাননায় ভূষিত অধ্যাপক রাশিদা বেগম
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশি কিংবদন্তি এই চিকিৎসকের হাতে রয়্যাল কলেজ অফ ইউকে এফআরসিওজি’র (Royal college of UK FRCOG ) পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: চিকিৎসাসেবা ও সমাজ কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় যুক্তরাজ্যের ‘রয়্যাল কলেজ অব ইউকে’ সম্মাননা পেয়েছেন ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ও অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সহ-সভাপতি ডা. মোসাম্মৎ রাশিদা বেগম।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশি এই চিকিৎসকের হাতে রয়্যাল কলেজ অব ইউকে এফআরসিওজি’র (Royal college of UK FRCOG ) পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। বিষয়টি অধ্যাপক ডা. রাশিদা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের চেয়ে আমি ১৪ বছরের ছোট। তার কনভোকেশনের ড্রেস পরা একটি ছবি ঝুলানো ছিল বাসায়। সুদর্শন যুবকের ছবিটা খুবই সুন্দর ছিল। ওই ছবিটা দেখতাম আর মনে হতো, এই রকম পোশাক কি আমি কখনও পরতে পারবো? সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত যা সারমর্ম- তা হল, ইচ্ছে থাকতে হয় এবং থাকলেই হবে না, তাকে যত্নের সাথে লালন করতে হয়। লালন করতে হয় সময় ও শ্রম দিয়ে।’ 

অধ্যাপক রাশিদা বলেন, ‘এই ষষ্ঠবার সেই পোশাক পরার সুযোগ হলো। এবারে মাত্র একজনই পেয়েছে এই অ্যাওয়ার্ড। উপস্থিত সকলের এপ্রিসিয়েশন ছিল দেখার মতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পোশাকটিও অ্যাওয়ার্ডের মতোই। অনেক আগে ছোট মেয়েকে নিয়ে নিউমার্কেট গেলাম শাড়ি কিনতে। একটা জামদানী শাড়ি দু'জনেরই খুব পছন্দ হলো। দাম ১৪ হাজার টাকা। দুই বা আড়াই হাজার টাকায় একটি শাড়ি নিলাম, যা তখনকার সময়ের জন্যও কম কিছু নয়। মেয়ে খুব মন খারাপ করে আমার কাছে টাকা ধার চাইল, বড় হয়ে চাকুরি করে শোধ করবে এই শর্তে। ধারের টাকা দিয়ে আমাকে সে শাড়ি কিনে দিবে। অত লম্বা সময়ের জন্য ধার আমি দিলাম না। আজ এনএইচএসের বেতন দিয়ে সে সেই জামদানি না পেলেও পরিধেয় এই জামদানি কিনল, যা আজও আমি নিজে কিনতাম না।’

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : চিকিৎসাসেবা
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক