মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ অদক্ষ ধাত্রী

মেডিভয়েস রিপোর্ট: অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে সন্তান প্রসব মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ রোববার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা।
বক্তারা বলেন, প্রধানত দুটি কারণে মাতৃমৃত্যু হয়। রক্তক্ষরণ ও খিচুনি। এটি হয়, বাড়িতে অদক্ষ ধাইয়ের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের কারণে। এটা মোকাবিলায় প্রসূতি নারীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগীরা এমন অবস্থায় হাসপাতালে আসেন, যখন আর কিছুই করার থাকে না। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মায়েদের হাসপাতালে না আনা। তাদের হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রামে ডেলিভারির জন্য সরকারিভাবে মিউওয়াইফ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকরা নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাগুলো কীভাবে দূর করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন মা এবং ৫০০ নবজাতক মারা যেত। এ অবস্থায় আমরা কাজ শুরু করেছি। লাখে প্রায় ৫০০ মায়ের মৃত্যু হতো। বর্তমানে এখন ১৬৪ জনে নেমে এসেছে। তবে এটা ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে। এখানে প্রধান প্রতিবন্ধকতা বাসায় সন্তান প্রসব। এখনও শতকরা ৫০ ভাগ ডেলিভারি বাড়িতে অদক্ষ ধাইয়ের মাধ্যমে হয়। আমরা সেটাকে প্রাতিষ্ঠানিক করতে চাই। যেন মাতৃ ও শিশুমৃত্যু না ঘটে।’
তিনি বলেন, অনেকে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে যান না। অথচ গর্ভবতী নারীর সেবায় প্রতিটি স্তরে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় মাত্র ৪৭ শতাংশ মা চারবার চিকিৎসকের কাছে আসেন। মায়েদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে কয়েকটি সূচক রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে ৬০ শতাংশ স্বামী-স্ত্রী কনডম ব্যবহার করেন। এটাকে আরও বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান ফার্টিলিটি হার দুই দশমিক দুই, এটা দুইয়ের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এসব বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। পরিবার পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে জোর দিচ্ছি। এতে সফলতার হার প্রায় শতভাগ। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। শুধু জনগণকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুল আরা হক বলেন, নারীর মৃত্যুর কারণ, সমাজে তাদের জীবনের মূল্য নেই। মাতৃমৃত্যু রোধে সব থেকে জরুরি নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান করা। আমাদের চাওয়া একটা মায়েরও যেন মৃত্যু না হয়। আমরা নারীরা কেন একজন মানুষকে জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করবো? তাই মায়ের মৃত্যু রোধে সমাজে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২২
-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২২
-
৩০ অগাস্ট, ২০২০
-
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
-
২২ নভেম্বর, ২০১৭
-
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
-
০৮ জুন, ২০১৭
‘ল্যানসেট’–এর গবেষণা প্রতিবেদন
ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড প্রয়োগে কমবে মাতৃমৃত্যু
-
৩০ মার্চ, ২০১৭
অধ্যাপক ডা. লতিফা সামসুদ্দিন
অবসটেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকলজির জীবন্ত কিংবদন্তীর সাক্ষাৎকার
