২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১১:২০ এএম

করোনার বিধিনিষেধ নিয়ে জনরোষে শি জিনপিং

করোনার বিধিনিষেধ নিয়ে জনরোষে শি জিনপিং
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরুমকিতে একটি অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র ধরে দেশজুড়ে কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য এই জনরোষ ছড়িয়ে পড়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন মারা গেছে।

মেডিভয়েস ডেস্ক: চীনে গত তিন বছর ধরে একের পর এক লকডাউন এবং গণহারে করোনা পরীক্ষার জেরে দেশের জনগণের ধৈর্য সহ্যের চরম সীমায় পৌঁছেছে। সাংহাই এবং রাজধানী বেইজিংয়ের মতো বড় বড় শহরে গত কয়েকদিন ধরে হাজার হাজার মানুষ করোনা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। যার নজির চীনে বিরল।

পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরুমকিতে একটি অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র ধরে দেশজুড়ে কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য এই জনরোষ ছড়িয়ে পড়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন মারা গেছে।

চীনে বহু মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে যারা বহুতল আ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকে, ভয় ঢুকেছে কঠোর লকডাউনের কারণে আগুন লাগলেও তারা হয়ত বাইরে বের হতে পারবে না। অবশ্য চীনের সরকার বলছেন এ ধরনের আশঙ্কা ভিত্তিহীন।

দেশটির নাগরিকদের প্রশ্ন আর কতদিন তাদেরকে শি জিন পিংয়ের এই জিরো-কোভিড নীতি সহ্য করতে হবে?

লকডাউনে মানুষের দুর্দশা নিয়ে অনেক অডিও-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা পেটের সন্তান হারাচ্ছে কারণ তারা সময়মত হাসপাতালে যেতে পারছে না; অসুস্থ, বয়স্ক মানুষজন সময়মত চিকিৎসা না পাওয়ায় মারা যাচ্ছে।

বাসে করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যাওয়ায় সময় দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় শিশু মৃত্যুর খবর বেরিয়েছে– যেগুলো নিয়ে জনমনে ক্ষোভ জমা হয়েছে।

চীনে অনেক মানুষ আশা করেছিল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে হয়ত জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টো সেখানে বলা হয়েছে জিরো কোভিড নীতির কোনো বদল হবে না।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চীনের সরকার এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে। জনগণের বিক্ষোভে সেই চাপ শতগুণে বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক হো-ফুং হুং বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ’ এবং শির সরকার এই প্রথম বড় কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গত দু বছরেরও বেশি সময় ধরে তার জিরো কোভিড নীতি  শি জিনপিংকে বিপদগ্রস্ত করেছে। বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে তিনি হয়তো এই নীতির সাথে নিজের দূরত্ব তৈরি করবেন, কিন্তু একইসাথে কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমনের জন্য স্থানীয় সরকারগুলোর ওপর চাপ দেবেন।’

অধ্যাপক হো ফুং বলেন, ‘স্থানীয় ওই সব সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কথা মানতে অস্বীকার করতে পারে। কারণ কোভিড বিধিনিষেধের শিকার তারাও হয়েছে।’

সূত্র-বিবিসি 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
করোনা ছড়ায় উপসর্গহীন ব্যক্তিও
একদিনেই অবস্থান বদল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

করোনা ছড়ায় উপসর্গহীন ব্যক্তিও