বিএসএমএমইউর ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল ফের চালু

মেডিভয়েস রিপোর্ট: করোনাকালীন সময়ে রোগীদের চিকিৎসায় নিবেদিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার চিকিৎসার জন্য নয়, সভা-সেমিনারসহ অনুষ্ঠানের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে এ কনভেনশন হল।
আজ রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে স্লিপ অ্যাপনিয়া বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে রাস্তা-ঘাটে মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন মাত্র ১৫ দিনের মাথায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল প্রস্তুত করে অনেক রোগীকে সেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে কনভেনশন হলটি আবারও চালু করা হয়েছে।’
এখন কনভেনশন হলে সবাই অনুষ্ঠান করতে পারবেন জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘সকল প্রফেশনাল সোসাইটি, কর্পোরেট সোসাইটি ও চিকিৎসকবৃন্দকে এখানে অনুষ্ঠান করার জন্য অনুরোধ করছি। তবে চিকিৎসকদের জন্য এখানে অগ্রাধিকার থাকবে।’
অনুষ্ঠানে স্লিপ অ্যাপনিয়া বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পানি না খেয়ে বেশ কিছু দিন থাকা যায়, কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে কারও শ্বাস কষ্ট হলে মৃত্যু খুব তাড়াতাড়ি হয়। সুতরাং আমাদের এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএসএমএমইউতে স্লিপ অ্যাপনিয়া সেন্টার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে স্লিপ অ্যাপনিয়া স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এটার প্রচার-প্রচারণার জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি। আরও বেশি সিম্পেজিয়াম-সেমিনার ও মিডিয়ার মাধ্যমে স্লিপঅ্যাপ স্ক্রিনিং সেন্টারের প্রচার চালাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের প্রশংসা করে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত অটোল্যারিংগোলজি সাবজেক্টকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং তার আমলে বিএসএমএমইউতে অনেক যন্ত্রপাতি এসেছে। এসব যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে আমরা আন্তর্জাতিক মানের অটোলারিঙ্গোলজিস্ট তৈরি করতে সক্ষম হবো। ইতিমধ্যে আমরা বিএসএমএমইউতে এ বিষয়ে এমএস এবং ফেলোশিফ চালু করেছি।’
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের স্বরণে তিনি বলেন, ‘এই দেশে যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে সবগুলোতেই চিকিৎসকদের অবদান আছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন চিকিৎসকদের মধ্য থেকে ১০ শতাংশ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেন। শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনও একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মহুতি দিয়ে অবদান রেখেছেন। আমি শহীদ ডা. শামসুল আলম খানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
বিএসএমএমইউ গবেষণাখাতে ব্যয় বাড়িয়েছে জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘আমরা বিএসএমএমইউতে গবেষণাখাতে বাজেট বাড়িয়েছি। গত আমলে চার কোটি টাকা ছিল, যা এখন ২২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকার একটা সমন্বিত গবেষণা তহবিল দেয়। এবার ৬৭ জন এ তহবিল পেয়েছে, এর মধ্যে এক চতুর্থাংশই পেয়েছে বিএসএমএমইউ।’
