দুই দিন ধরে নিখোঁজ ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. জাকির

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল ডা. জাকির হোসেনকে দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কেন বা কি কারণে তিনি নিখোঁজ তার কোনো সূত্র পাচ্ছে না বাংলাদেশ পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিষয়টি মেডিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডা. জাকিরের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টা এখনও পরিষ্কার হওয়া যায়নি। ডা. জাকির কেন বা কি কারণে নিখোঁজ হয়েছেন আমরা তার কোনো সূত্র খুঁজে পাইনি। বিভিন্ন উপায়ে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ধারণা করেও কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মোহসিন উদ্দিন ফকির।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ডা. জাকির হোসেন গত ৮ নভেম্বর দুপুর দুইটার সময় হাসপাতালের বহির্বিভাগের দায়িত্ব শেষ করে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। গত ৯ নভেম্বর রাত ১২টার সময় তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল থেকে স্ত্রীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানান, বিদ্যুৎ নেই, তার মোবাইল ফোন যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
ডা. মোহসিন বলেন, ‘এর পর ৯ তারিখ ভোর পাঁচটা ৫৪ মিনিটের সময় ডা. জাকির হোসেন আমাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানান যে, তার শাশুড়ি অসুস্থ, জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় যেতে হবে। আগামীকাল ফিরতে একটু দেরি হবে। কিন্তু এখনও পর্যন তিনি কর্মস্থলে ফিরে আসেননি বা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
ভাঙ্গা ইউএইচএফপিও বলেন, ‘এ অবস্থায় ডা. জাকিরের স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, তার স্বামী বাসায় ফেরেননি বা তার কোন সন্ধান তারা জানেন না। এমনকি জাকির হোসেনের শাশুড়িও অসুস্থ নন বলেও জানান তাঁর স্ত্রী। জাকির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’
ডা. জাকিরের জীবন ধারা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মোহসীন বলেন, ‘তিনি একা থাকতে পছন্দ করতেন। সবার সঙ্গে মিশতেন খুব কম। নামায পড়তেন, দাঁড়িও আছে। মেডিসিনের ডাক্তার হিসেবে রোগী বেশি থাকতো এমনটিও নয়। ডা. জাকির তার স্ত্রীকে বলেছেন, ভাঙ্গায় বিদ্যুৎ নেই। বিষয়টি সত্য নয়। তাই নিখোঁজের বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।’
ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে ডা. জাকিরের বাবা মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমার ছেলে কেন নিখোঁজ হলো কিছুই বুঝতে পারছি না। সে কোনো রাজনীতি করতো না, বেশি আড্ডাও দিতো না। ডা. জাকির শুধু হাসপাতাল, মসজিদ আর বাসা নিয়ে থাকতো। আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্থ থাকতো।’