মেডিভয়েস আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা

মেডিভয়েস রিপোর্ট: স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা মেডিভয়েসের আয়োজনে ‘মেডিভয়েস আবৃত্তি প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৯ অক্টোরব) দুপুর দুইটায় মেডিভয়েস স্টুডিওতে সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর সদস্যদের উপস্থিতিতে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী অর্ঘ্য প্রতিম ঘোষ, দ্বিতীয় হয়েছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সানজানা আখতার, তৃতীয় হয়েছেন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সারদা প্রাপ্তি দাশ, চতুর্থ স্থান অধিকার অর্জন করেছেন সিলেট পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী শারদ সীমন্তিনী ত্রিধা ও পঞ্চম হয়েছেন বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নিশাত আনজুম।
প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে ছিলেন কণ্ঠশিল্পী, উপস্থাপক ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ভাসকুলার সার্জন ডা. সাকলায়েন রাসেল এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।
ফলাফল ঘোষণা পূর্ব বক্তব্যে ডা. গুলজার হোসেন বলেন, ‘মেডিভয়েস আবৃত্তি প্রতিযোগিতা-২০২২ অত্যন্ত চমৎকার একটি আয়োজন। এই প্রতিযোগিতা চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের বিরাট একটি উপলক্ষ। পাশাপাশি সুন্দর সংস্কৃতি চর্চারও একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা শরীরকে যেমন বাঁচিয়ে রাখি, তেমনি মনকে রাখতে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই।’
অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীকে অভিনন্দন জানিয়ে ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের কবিতা আমি শুনেছি, সবাই ভালো করার চেষ্টা করেছেন এবং চমৎকার আবৃত্তি করেছেন। আমি মনে করি, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীই বিজয়ী। কেউ পুরস্কার পাচ্ছেন, কেউ পাননি। তবে লেগে থাকলে তারা সবাই এক দিন পুরস্কৃত হবেন এবং ভালো করবেন। তাদের সেই প্রতিভা আছে। এই প্রতিভা ধরে রাখতে হবে।’
এ আয়োজনকে অত্যন্ত ইতিবাচক উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান বলেন, মেডিভয়েসকে ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য। পড়াশোনা ও পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করলে মানসিক স্বাস্থ্য সমৃদ্ধ হয়। এখানে কোনো কোনো প্রতিযোগী মোমবাতি জ্বালিয়েও রেকর্ড করেছেন, আবার কোনো প্রতিযোগী আলো-আধাঁরের মধ্যে ভিডিও রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন। বর্ণিল পরিবেশনায় তাদের শৈল্পিক মননের পরিচয় পাওয়া গেছে। সবার আবৃত্তি-ই সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগতো যদি সবাইকে পুরস্কৃত করা যেতো। কিন্তু এটা তো সম্ভব না। তবে লেগে থাকলে তারা সবাই পেশার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলো ছড়াতে পারবে।
আবৃত্তি হলো শিল্প চর্চার অন্যতম একটি মাধ্যম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেক কিছু শেখার আছে।
এর আগে ১৫ আগস্ট প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে শেষ হয় ২০ সেপ্টেম্বর। এতে অংশগ্রহণ করেন দেশের প্রতিভাবান চিকিৎসক ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
-
২৯ অক্টোবর, ২০২২
-
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২