১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৩:০১ পিএম

অক্টোবরের পর বন্ধ হতে পারে প্রথম ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অক্টোবরের পর বন্ধ হতে পারে প্রথম ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘দেশে ৭১ শতাংশের বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ও ২৬ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। মোট ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: অক্টোবরে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৩ অক্টোবরের পর হয়তো আমাদের কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন থাকবে না। যেগুলো থাকবে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।’

দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭৭ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৭১ শতাংশের বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ও ২৬ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। মোট ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও প্রথম ডোজ নেয়নি ৩৩ লাখ, দ্বিতীয়  ডোজ নেয়নি  ৯৪ লাখ। দ্রুত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’

দশ লাখ শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আমাদের ভ্যাকসিনে অভাব হবে না। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় ৩১ কোটির বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছে বিনামূল্যে। ভ্যাকসিনে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে, কিন্তু টাকার কোনো অভাব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হবে, অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে ও স্বাস্থ্য সেবায় প্রভাব পড়বে। এজন্য ছেলে-মেয়েদের ভ্যাকসিন নিতে হবে, সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরতে ভুলে গেলে চলবে না। সুস্থ থাকতে সকলের মাস্ক পরা উচিৎ।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। করোনার মধ্যেও নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার কারণে টেকনিশিয়ান নিয়োগে কিছুটা পিছিয়ে আছি। ঝামেলা শেষে হলে এই সংকটও থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা হাসপাতাল পরিস্কার রাখতে হবে। অচল মেশিনগুলো মেরামত করতে হবে। নার্স ও ওষুধের সংকট নেই। সমস্যা হলো আমাদের মানসিকতার। চিকিৎসকরা সবাই শহরে থাকতে চায়। আমরা চাই জেলা ও উপজেলায় আপনারা ভালো করে চিকিৎসা সেবা দিন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোথাও সময়ের আগে ভিজিটর এলাউ করে না। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের বয়কট করতে হবে। দালালরা হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করে। এরা সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এটি প্রতিরোধে হাসপাতালগুলো দালাল মুক্ত করতে হবে।

সিভিল সার্জনদের মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল মাসে কয়েকবার ভিজিট করুন। যারা কাজ করে তাদের পুরস্কৃত করবেন, যারা কাজ করে না তাতের ভর্ৎসনা করেন। যথা সময়ে ডাক্তার-নার্সদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, তাদের উপস্থিতি ছাড়া হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক