‘ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে’

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ঢাকার বায়ু দূষণ মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা ওজোন স্তরকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে জানিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আয়োজনে এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কিডনি রোগী ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ, উদ্ভিদ, প্রাণী তথা পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোওয়ারী বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমরা যেভাবে বায়ুদূষণ করছি, এতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সোচ্চার নই। উন্নত দেশের দূষণকারী থেকে আমারা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারছি না।’
ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ, উদ্ভিদ, প্রাণী তথা পরিবেশ প্রতিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ওজন স্তর কিভাবে ক্ষয় হয়, তার বিস্তারিত তিনি প্রবন্ধে তুলে ধরেন।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের জীবনের জন্য ওজোন স্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাই পারে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষা করতে। এক্ষেত্রে যুবকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. ইউনুস মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. শহিদ আখতার হোসেন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন, সিনিয়র প্রভাষক মাহমুদা ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মারুফা গুলশান আরা ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রিসার্চ ফেলো হুমায়ূন কবির।
প্রসঙ্গত, ওজন স্তরের ক্ষয় ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজন দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ি দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই দিনটিই পালিত হয় বিশ্ব ওজন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোনরক্ষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।