আর কে মিশন রোড, পেয়াদাপাড়া, দক্ষিণ কমলাপুরে পানিতে দুর্গন্ধ

সকালে পাঁচ লিটার মাপের দুটি জারে পানি নিয়েছেন তিনি। পেয়াদাপাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা নিয়ামত আলী সন্ধ্যায় আবারও জার হাতে দাঁড়িয়েছেন লাইনে।
সকালে বাসা থেকে হাঁটতে বেরোনোর সময় তিনি পাঁচ লিটারের একটি খালি জার নেন। বালুরমাঠ পানির পাম্প থেকে পানি সংগ্রহ করেন।
বিকেলে বেরোনোর সময়ও জার নেন, তখন পাম্পের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হয়। কারণ, বিকেলে পানি নিতে আসা লোকের ভিড় বাড়ে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুরমাঠ এলাকায় পানির পাম্পে কথা হয় নিয়ামত আলীসহ আরও অন্তত ১০ জন বাসিন্দার সঙ্গে। সবারই বক্তব্য, বাসার কলে যে পানি আসে, তা ঝাঁজালো ও গন্ধযুক্ত।
নিয়ামত আলী বলেন, পেয়াদাপাড়া এলাকার অনেক বাসিন্দা তাঁর মতো বাসা থেকে বেরোনোর সময় ওয়াসার পাম্প থেকে পানি সংগ্রহের জন্য হাতে করে পাত্র নেন।
সেটা অফিসে যাওয়ার সময়ই হোক, চাই কি অন্য কাজে। কয়েক বছর ধরে এমন চলছে। শীতের মৌসুমে পানির সংকট আরও বেড়ে যায়।
শনিবার দক্ষিণ কমলাপুর এলাকার একটি ভাতের হোটেলের জন্য পানি নিতে এসেছেন মধ্যবয়সী এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে ২০ লিটার পানি ধারণক্ষমতার চারটি জার।
তিনি জানান, বিভিন্ন হোটেলে এভাবে পানি পৌঁছে দিয়েই তাঁর পেট চলে। একসঙ্গে বেশি জার হলে রিকশা করে নেন।
সোলায়মান হোসেন নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, কষ্ট হলেও পাম্পের পানি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। কারণ বাসায় ওয়াসার যে পানি আসে তাতে দুর্গন্ধ। ফোটালেও গন্ধ যায় না।
পানি নিতে এসেছেন গোপীবাগ প্রথম গলি, অভয় দাস লেন, কলেজ ভিউ টাওয়ার এবং দক্ষিণ কমলাপুর এলাকার লোকজন।
তাঁদের বক্তব্য, ওয়াসার পানির পাইপলাইন অনেক পুরোনো। ওয়াসার লোকদের কাছেই শুনেছেন, অনেক স্থানে ফুটোও (লিকেজ) আছে। সে জন্য পানিতে দুর্গন্ধ।
তবে ওয়াসার আঞ্চলিক কার্যালয়ের একাধিক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির লাইনে ফুটো ছাড়াও শীতলক্ষ্যা নদীর পানিদূষণের কারণেও পানিতে গন্ধ থাকতে পারে।
আর কে মিশন রোড, গোপীবাগ, পেয়াদাপাড়া, অভয় দাস লেনে সায়েদাবাদ শোধনাগারের পানি সরবরাহ করা হয়। পাম্পের পানির লাইনের সঙ্গে একই পাইপে সায়েদাবাদের পানি যুক্ত হয়।
সৌজন্যে : প্রথম আলো।
