অগ্নিদগ্ধ হয়ে আইসিইউতে মিটফোর্ডের চিকিৎসক অদিতী সরকার

মেডিভয়েস রিপোর্ট: রাজধানীর ওয়ারী থানার হেয়ার স্ট্রিট সড়কের একটি বাসায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক অদিতী সরকার (৩৮)। শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অদিতী সরকার বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ শনিবার (২৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, অদিতীর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন অদিতীর সরকারের শ্বশুর শাশুড়ির বরাত দিয়ে মেডিভয়েসকে বলেন, দুপুরে পূজা দিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অদিতী। আত্মহত্যা চেষ্টা নাকি দুর্ঘটনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখনও পর্যন্ত তদন্ত হয়নি এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।
অদিতী সরকারের স্বামী মনেষ মণ্ডল বলেন, ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার অদিতী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ও আপসেট ছিলেন। গতকাল দুপুরে কাজ শেষে বাসায় ফিরে একটি কক্ষে যান তিনি। এরপর হঠাৎ চিৎকার শোনা যায়। পাশের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর শরীরে আগুন জ্বলছে। পানি ঢেলে আগুন নেভানো হয়। এরপর ৯৯৯-এর ফোন করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
অদিতীর দীর্ঘদিনের বন্ধু চিকিৎসক শান্তা শারমিন। তিনি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘অদিতীর সাথে আমার শেষ দেখা গত ৭ জুন বিসিপিএস এর কনভোকেশনে। আমার স্কুল জীবনের বন্ধু অদিতি। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর, আবেগপ্রবণ, সবসময় হাসিখুশি একটা মেয়ে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৩১ তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন, এরমধ্যেই এফসিপিএস এবিং এম ডি করেছে পেডিয়াট্রিকসে।’
অদিতীর অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে তিনি আরও লিখেন, ‘অদিতি আজ শেখ হাসিনা বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ৬০ শতাংশ বার্ন নিয়ে ভর্তি রয়েছে। পরিচিতজনরা বলছে, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো নাকি সে। তার স্বামী বলেছে, ডিপ্রেশনে ভুগছিলো। আবার এও বলেছে স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে মন কষাকষি চলছিলো। অদিতীকে চিনি সেই ছোট্টবেলা থেকে। ডিপ্রেশনে থাকার মেয়ে তো অদিতি না। ’
