আট পদের ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
মেডিভয়েস রিপোর্ট: মানব ও প্রাণীদেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন আট পদের ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সম্প্রতি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নথি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে জানানো যাচ্ছে যে, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির ২৫৩তম সভায় নিম্নোক্ত ওষুধসমূহের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘ঔষধসমূহ যে সকল প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছিল, সে সব প্রতিষ্ঠানের উল্লিখিত পদসমূহের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য এতদ্বারা নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
রেজিস্ট্রেশন বাতিলকৃত পদের ওষুধসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো।
মানবদেহের ওষুধ
1. Rabeprazole Sodium Enteric Coated Pellets 8.5% w/w Ph. Grade 235.294mg (Contains Rabeprazole Sodium BP 20mg Capsule).
2. Bromelain 50 mg + Trypsin 1 mg Tablet (Bromelain USP 50 mg+Trypsin BP 1 mg)
3. Astaxanthin INN 2 mg (soft Gelatin Capsule and powder-filled hard Gelatin Capsule).
4. Astaxanthin INN 4 mg (soft Gelatin Capsule and powder-filled hard Gelatin Capsule)
প্রাণীদেহের ওষুধ
1.Ceftriaxone (as Sodium) (vet) injection Ceftriaxone 0.25 g USP/vial (as sterile Ceftriaxone Sodium USP)
2. Levofloxacin Hemihydrate 10.25 gm equivelant to Levofloxacin 10 m/100 ml solution (10%) oral solution.
৩. মহাবিপন্ন শকুন রক্ষার্থে ক্ষতিকর সকল ডোজেস ফরমের ভেটেরিনারি ওষুধ কিটোপ্রোফেন বাতিল করা হলো।
৪. প্রাণী চিকিৎসায় Colistin জাতীয় ওষুধের সকল ডোসেজ ফরম (Oral solution & Injectable Form) বাতিল করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ মেডিভয়েসকে বলেন, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্যের পরিবেশগত নিরাপত্তার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এ সভায় দেশের সেরা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিবেশের জন্য বৈশ্বিক হেলথ পলিসি রয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এই ওষুধগুলো আর উৎপাদন করা যাবে না। এগুলো যদি আমরা নিষিদ্ধ না করি, তাহলে রেজিস্ট্যান্স ছড়িয়ে পড়বে। এটি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।’