এমবিবিএস রেজাল্টে জিপিএ পদ্ধতি চালু, বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের

সাখাওয়াত হোসাইন: এমবিবিএসের ফলাফল গড় গ্রেড পয়েন্ট (জিপিএ) পদ্ধতিতে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রমকে উন্নত ও যুগোপযোগী করতেই নতুন এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
এদিকে এ পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ‘জিপিএ পদ্ধতি দেশের মেডিকেল শিক্ষায় ভালো কিছু বয়ে আনবে না। এতে কম জিপিএ পাওয়াদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে, তাদের চাকরি পাওয়া কঠিন হবে ও চিকিৎসক বেকারত্ব বেড়ে যাবে।’ এমবিবিএসে জিপিএ সিস্টেমকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
নতুন সেশনে কার্যকর
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. আরমান হোসেন মেডিভয়েসকে বলেন, ‘২০২১-২২ সেশন থেকে নতুন এ পদ্ধতি চালু হবে। এবার যারা ভর্তি হবে, তাদের থেকে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে। পূর্ববর্তীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। আমাদের নতুন সিলেবাসে জিপিএ সিস্টেম রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও শুধু পাস আর ফেইল পদ্ধতি এখন চলে না। সব জায়গায় জিপিএ সিস্টেম রয়েছে। তাই নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শাহরিয়ার নবী মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে কোনো মেসেজ বা নির্দেশনা আসেনি। এটি বিএমডিসি করবে। আমরা চাই নতুন এ পদ্ধতি চালু হোক। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য দেশে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে, জিপিএ পদ্ধতিতে রেজাল্ট হলে, বাহিরের দেশে গিয়ে ডিগ্রী অর্জনে সহায়ক হবে।’
‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মানেই হলো জিপিএ সিস্টেম। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর একটা পক্ষ সমালোচনা করবে, আরেকটা পক্ষ সাধুবাদ দিবে। সবাই এক কাতারে কথা বলবে না। এটাই স্বাভাবিক’ যোগ করেন তিনি।
ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী সাপ্লিমেন্টারি দেয়, প্রাক্টিস করতে গেলে রোগীরা তাদের জিজ্ঞেস করে না; আপনি সাপ্লি দিয়ে চিকিৎসক হয়েছেন, না এক চান্সে পাস করেছেন। এটা জিজ্ঞেস করে না কেউ। এমবিবিএসের পর অনেক সময় দেখা যায় ভালো শিক্ষার্থীরাও ডিগ্রি নেয় না বা নিতে পারে না, কিন্তু আবার দেখায় যায় তুলনামূলক একটু কম মেধাবী শিক্ষার্থীও ভালো ডিগ্রি নিয়ে ভালো চিকিৎসক হয়। আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব এমবিবিএসে ভালো করেও ডিগ্রি নিতে পারেনি, মেডিকেল অফিসার হিসেবে পড়ে আছে। আবার দেখা গেছে, অনেক কম মেধাবী শিক্ষার্থী ভালো ডিগ্রি নিয়ে ক্যারিয়ার গড়েছে। তাঁর সুনাম রয়েছে সর্বত্র।’
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) রেজিস্ট্রেশন ট্রেনিং মনিটরিং ডিপার্টমেন্টের (আরটিএমডি) অনারারি ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ জামাল মেডিভয়েসকে বলেন, ‘গ্রেডিং সিস্টেমটা হলো আগে যে নম্বর দেওয়া হতো, সেই নম্বরই দেওয়া হবে। এখন প্রাপ্ত নম্বরটাকে গ্রেডে রুপান্তর করা হবে। বিদেশে পড়তে গেলে এটা খুব কাজে আসে। সেই কারণে এই পরিবর্তন। এটা অন্য কোনো পরির্বতন নয়। শুধু বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মেলাতে নম্বরটাকে গ্রেডিং রুপান্তর করা হবে।’
জিপিএ ভালো করা চিকিৎসকদের কাছে রোগী বেশি যেতে চাইবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে এ রকম কিছু নয়। যারা ভালো করবে, তারা হয়তো বিদেশের পড়াশোনায় কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবে। আমাদের দেশে অনেকে গোল্ড মেডেলিস্ট লেখে প্রাক্টিস করে, রোগী কি এসব দেখে চিকিৎসকের কাছে যায়? দেশের প্রথিতযশা অনেক চিকিৎসকেরই গোল্ড মেডেলিস্ট নেই। বিপিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ স্যারেরও গোল্ড মেডেলিস্ট নেই। অনেক বড় বড় স্যাররা গোল্ড মেডেলিস্ট লেখে? ডিগ্রি দেখে রোগী চিকিৎসকের কাছে খুবই কম যায়। মানুষ চিকিৎসককে তার যোগ্যতা দিয়ে বিচার করে।’
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ জামাল বলেন, ‘গ্রেডিং সিস্টেমটা খুবই ইতিবাচক। নতুন কোনো পদ্ধতি চালু হলে অনেকে অনেক কথা বলবে। এটি কোনো মৌলিক পরিবর্তন নয়, নম্বরের একটা পরিবর্তন। গ্রেড দেখে চিকিৎসকের কাছে যাবে না, প্রাক্টিসের দক্ষতার উপর ভিত্তি রোগী চিকিৎসকের কাছে যায়।’
এ পদ্ধতিতে পড়াশোনার আগ্রহ বাড়বে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘যাই করা হোক, ভেবে চিন্তে করা দরকার। শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে আপোষ করা যাবে না। সক্ষমতা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের যা ভালো হয়, সেটাই আমরা আশা করি। এ পদ্ধতির একটা পজিটিভ দিক রয়েছে, সেটি হলো-গ্রেডিং পদ্ধতিতে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার একটা আগ্রহ বাড়তে পারে। যেটা আমাদের খুবই দরকার। এ ছাড়াও তারা কেন, নতুন এ পদ্ধতি চালু করেছে, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। নতুন পদ্ধতি করতে গেলে বুঝে শুনে করতে হবে, সেই সাথে শক্ত একটি ব্যাখ্যা থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা গ্রেডিং সিস্টেমকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখছি না। কারণ, প্রতিযোগিতা না থাকলে পড়াশোনার আগ্রহ বাড়ে না।’
পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই চিকিৎসক নেতাদের
এমবিবিএসে গ্রেডিং সিস্টেম সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা। তারা বলছেন, এসএসসি-এইচএসসি গ্রেডিং পদ্ধতির একটি মূল্যায়ন রয়েছে। কিসের উপর ভিত্তি করে গ্রেডিং চালু করেছে, তা তাদের জানা নেই। ভবিষ্যৎ চিকিৎসক মহলে এ পদ্ধতি বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। পরে দেখা যাবে এ প্লাস ধারী চিকিৎসকের কাছে রোগী বেশি যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিশনের (বিএমএ) মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল মেডিভয়েসকে বলেন, ‘এ পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত কোনো ধারণা নেই। এ পদ্ধতি চালুর করার উদ্দেশ্য কি তাও আমাদের জানা নেই। নাকি এ পদ্ধতি চালু করার পেছনে অস্থতিরতা সৃষ্টি করার টার্গেট রয়েছে। কারণ আগামীতে জাতীয় নির্বাচন। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সাথে অনেক লোক রয়েছে, যারা সরকারের চিন্তা চেতনার সাথে মিল নেই। তারা চায় বিভিন্ন সিদ্বান্ত নিয়ে সরকারের পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাতে। চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মহলে একটা ইস্যু তুলে দিতে চায়। যেটা জাফরুল্লাহ সাহেব করেছিলেন ইরশাদ সরকারের সময়। এ ধরনের কারও পরিকল্পনা আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাট একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।’
জিপিএ পদ্ধতি বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের
এদিকে এমবিবিএসে গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ভবিষ্যতে দেখা যাবে গ্রেডিংটাই সবার চোখে বেশি পড়বে। বর্তমান সিস্টেমটাই সুন্দর। এখন যারা সব বিষয়ে ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পায়, তাদের লেখা থাকে গোল্ড মেডেল বা অনার্স মার্ক। যারা গোল্ড মেডেল পায় তখন তারা তাদের ভিজিটিং কার্ডে নামের পাশে লিখে গোল্ড মেডেল পাওয়া। যদিও বর্তমানে এটার কোনো প্রাধান্য নেই। তারপরও অনেকে এটা লিখেন। তখন রোগী দেখে, ওই চিকিৎসক ভালো সেবা দিক বা খারাপ সেবা দিক, তিনি গোল্ড মেডেল পাওয়া। আর বাকিরা একটু হলেও ছোট হয়ে থাকে। আর যখন এ প্লাস, এ গ্রেড, বি গ্রেড এ পদ্ধতি চালু হবে, তখন এগুলো দেখে রোগী চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের উপর অনেক প্রভাব পড়বে। আমাদের অনেক রিটেইনার সিনিয়রকে দেখেছি, তারা যখন চাকরির জন্য যায়। ভাইবা বোর্ডে প্রথমেই সিভি খুলে দেখে সে রিটেইনার কিনা? এখানেই ছোট করা হয়। কিছু সরকারি চাকরি ছাড়া অন্যান্য প্রাইভেট সেক্টরে রিটেইনারদের মূল্যায়নই করা হয় না। অতএব জিপিএ এ পদ্ধতি বাতিল করা প্রয়োজন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মনে করি, মেডিকেলে জিপিএ সিস্টেম বাতিল হওয়া প্রয়োজন। জিপিএ সিস্টেম মেডিকেলে ইনফেরিওরিটি-সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্সকে বহুগুণে বাড়াবে। আনহেলদি কম্পিটিশান তৈরি করবে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়াবে। মেডিকেল সিলেবাস এবং কারিকুলামের গুণগত মান পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনকে গুরুত্ব দিয়ে কারিকুলাম ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন। ভাইভা বোর্ডে কারও ইচ্ছে হলে অকৃতকার্য করিয়ে দেওয়ার জঘন্য সিস্টেম পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেম প্রণয়ন হওয়া দরকার। আসল জায়গায় সংস্কার করুন। জিপিএ মেডিকেলে কোন গুণগত পরিবর্তন আনবে না। বরং কমপ্লেক্সিটি বাড়াবে।’
রাজধানীর ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গ্রেডিং সিস্টেম ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের জন্য ভালো কিছু হবে বলে মনে হয় না। কিছু চিকিৎসক এমবিবিএস পাস করে বিদেশ পড়তে যাবে। আর যারা দেশে থেকে যাবে তাদের জন্য এ পদ্ধতি অভিশাপ হয়ে দাড়াতে পারে।’
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জিপিএ সিস্টেম চালু হলে পরীক্ষা নেয়ার ধরন বদলাতে হবে৷ চাইলে কাউকে যেন ফেইল করানো না হয়, সেইটা লক্ষ্য রাখতে হবে৷ আবার না পেরে পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্সে যেন পাস না হয় তাও মাথায় রাখতে হবে৷ জিপিএ সিস্টেম এমবিবিএসের জন্য ভাল কোন সিস্টেম নয়। বরং প্র্যাক্টিকাল নলেজ বাড়াতে হবে৷ গদবাদা পড়িয়ে কি লাভ, যখন কিছু ম্যানেজ করতে না পারলে৷’
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মেডিকেল অঙ্গনে অনেক শিক্ষার্থীই হতাশার মধ্যে থাকে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে। এ পদ্ধতি হতাশা আরও বাড়িয়ে দিবে। কারণ যারা কম গ্রেড পাবে, তারা বেশি একটা মূল্যায়ন পাবে না। বি আর সি গ্রেড পাওয়া অনেকে মনোবল হারিয়ে ফেলবে। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার। জিপিএ সিস্টেম কোনোভাবেই ইতিবাচক পরিবর্তন নয়। ভাইভা বোর্ডে ফেইল কমাতে হবে। জেনারেল পিজিশিয়ান (জিপি) সিস্টেম চালু করতে হবে। আর বিদেশের সাথে আমাদের সাথে তুলনা করে কোনো লাভ নেই। অনেকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়ে সহজেই ডিগ্রিতে পড়তে পারে। আরে দেশে পড়তে পড়তে শেষ হয়ে যায়, তারপরও ডিগ্রিতে পাস করা কঠিন হয়ে যায়। বাংলাদেশের সাথে বিদেশের তুলনা চলে না। বিদেশে এমবিবিএস পাস জিপির অনেক মূল্য। কারণ, তারা সব বিষয়ে জ্ঞান রাখে।’
এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আর ভারতে বিশেষজ্ঞ লোকদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। জেনারেল পিজিশিয়ানদের (জিপি) কাছে মানুষ তেমন যায়ই না। গ্রাম অঞ্চলে কিছুটা যায়। আর শহরে তো জিপিদের কোনো মূল্যই নেই। আর দেশে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা একেক প্রশ্নে পরীক্ষা নিচ্ছে। তাতে সবাইকে একদিনে এক প্রফ পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক। তাও হবে না। আমাদের সিস্টেমে অনেক শূন্যতা আছে, তা না করে উল্টা পাল্টা কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে।’