১১ মে, ২০২২ ০৪:২০ পিএম

দেশে প্রথম থ্যালাসেমিয়া নিরাময়ে সাফল্য

দেশে প্রথম থ্যালাসেমিয়া নিরাময়ে সাফল্য
২১ মাস বয়সী এক শিশুর হ্যাপলো বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে জন্মগত থ্যালাসেমিয়া নিরাময়ে প্রথম সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসকরা। আজ বুধবার (১১ মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) এভারকেয়ার হাসপাতালে শিহাব খন্দকার নামে ২১ মাস বয়সী এক শিশুর হ্যাপলো বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এ সময় হেমাটোলজি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘নীরব ঘাতক থ্যালাসেমিয়ার একমাত্র চিকিৎসা হলো বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট। কিন্তু ডোনারের অভাবে এটি করা খুবই দুষ্কর। থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবার ছোট আকারের হওয়ায় ডোনার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে মাত্র ১০ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘রোগটি চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি হলো হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট (হাফ ম্যাচ ডোনার ট্রান্সপ্লান্ট)। এ পদ্ধতিতে পরিবারের যে কেউ (মা, বাবা, ভাই, বোন) ডোনার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে। ফলে ডোনার নিয়ে ভোগান্তির অবসান হতে চলেছে বলে মনে করেন তিনি।

ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ আরও বলেন, ‘সাধারণত শিশুর দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সে হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়। অনেক সময় দুই বছরের আগেও করা যায়। আমরা দেশে প্রথমবারের মতো গত ৫ মে ২১ মাস বয়সী এক শিশুর হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে করেছি। বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য এটি অনেক বড় সুখবর। এভারকেয়ার হাসপাতালের হাত ধরে থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে তিনি মনে করেন।

এ সময় বক্তরা বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জেনেটিক্যাল বা বংশগত রোগ। জেনেটিক্যালি বিভিন্ন ডেলিশন ও মিউটেশনের কারনে রোগটি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, যাদের বেশিরভাগই রোগটি সম্পর্কে অবগত নন। এর বড় কারণ, আক্রান্তদের বেশিরভাগই বাহক, যা সহজে ধরা পড়ে না। ফলে থ্যালাসেমিয়াকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ হাজার মানুষের চিকিৎসা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের এমডি ও সিইও ডা. রত্নদ্বিপ, মেডিকেল সার্ভিসেসের উপপরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ, চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউল এবং রোগী শিহাবেরর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
ছেলের চোখে অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান

সাতকানিয়ার চুপচাপ বালক যেভাবে হয়ে উঠেন কিংবদন্তি চিকিৎসক

ছেলের চোখে অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান

সাতকানিয়ার চুপচাপ বালক যেভাবে হয়ে উঠেন কিংবদন্তি চিকিৎসক

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক