২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০১:৫২ পিএম

‘টিআইবি’র প্রতিবেদন খুবই অস্বচ্ছ’

‘টিআইবি’র প্রতিবেদন খুবই অস্বচ্ছ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনামূল্যে টিকা পেয়েছে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: করোনার টিকা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন খুবই অস্বচ্ছ বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে আমাদের কাজ খুবই ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ)।’

আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাত ও টিকা কার্যক্রম নিয়ে  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ঊর্ধ্বে টিকা বিনামূল্যে পেয়েছি। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনামূল্যে টিকা পেয়েছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বাংলাদেশ টিকা নষ্ট না করে সঠিক ব্যবহার করেছে অর্থাৎ টিকা দিয়েছে। আমরা সবচেয়ে দামি টিকা পেয়েছে। মডার্না, ফাইজার ও আস্ট্রাজেনেকা।’

টিকার ক্রয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৪০ হাজার কোটি টাকার মূল্যের টিকা মানুষকে দেয়া হয়েছে বলেছি কিন্তু এটার অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ সরকারের এটা খরচ হয়েছে। সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। টিকা আনা ও প্লেন খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে এটা খরচ হয়েছে। বাকি ২০ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে যে, সাড়ে ৯ কোটি টিকা বিনামূল্য পেয়েছি সেটার দাম হিসাব করে বলেছি।’

তিনি বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। প্রায় ১৩ কোটি প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি ১১ কোটি ৬০ লাখ। বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ। লক্ষ্যমাত্রার প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ শতাংশ। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকার সাফল্যের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এ কারণে নানা আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সঠিক তথ্য সব সময় আসে না। টিআইবি রিপোর্ট দিয়েছে, বেশ কিছু তথ্য আছে যেগুলো সত্য নয়। টেলিফোনের মাধ্যমে তথ্যগুলো নেয়া হয়েছে। ১২ কোটি ৮৪ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর সার্ভে করা হয়েছে মাত্র ১৮শ মানুষের মধ্যে। সেখানে এত ছোট পরিসরে একটা সার্ভে, এটা আসলে সঠিক তথ্য দেয়নি এবং যে সমস্ত কথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে, এটা সঠিক হয়নি। কারণ এটার সাইজ এতো ছোট যে আমরা এটাকে সঠিক বলে ধরে নিতে পারি না।’

টিআইবির প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ ৪০ লাখ ষাটোর্ধরা টিকা পায়নি, এই ধরনের লোকই রয়েছে এক কোটির একটু বেশি। দেশে এই বয়সের কেউ বাকি নেই। যারা পায়নি তারা নিজের ইচ্ছায় নেয়নি। কাজেই এই তথ্য সঠিক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক, হাওড়ে ও ভাসমান মানুষের দোর গোড়ায়ও টিকা নিয়ে গেছি। টিকা নিতে গিয়ে নাকি ৬৭ টাকা ঘুষও দিতে হয়েছে এ তথ্যও মেনে নিতে পারছি না। ২-৩টি কেন্দ্রে নাকি দেড় হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছে। মোট কেন্দ্র হচ্ছে দেড় লাখ। মহিলাদের জন্য ব্যবস্থা বা বসার জায়গা করা হয় নাই এই ধরনের তথ্যও সঠিক নয়। মহিলা ও প্রতিবন্ধিদের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছিল। কাজেই এই বিষয়গুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বলা হয়েছে।’

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক