এবারের মেলায় চিকিৎসকদের যত বই

মো. মনির উদ্দিন: নিজ পেশার পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতিতে চিকিৎসকদের সদর্প বিচরণ এক পরিচিত অধ্যায়। মমতার স্পর্শে রোগ সারিয়ে তোলা এসব আরোগ্য শিল্পী কলমের ছোঁয়ায়ও আলো ছড়ান অসুন্দর-অসঙ্গতির আঙিনায়।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে চিকিৎসকদের প্রায় দুই ডজনের মতো বই। এর মধ্যে কোনো কোনো চিকিৎসকের রয়েছে একাধিক বই। বিষয় বৈচিত্রে অনন্য এসব বইয়ে স্থান পেয়েছে বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণ, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং স্বাস্থ্যসহ নানা বিষয়ে বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ।
প্রকাশিত বই ও এর লেখক এবং বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের আয়োজন ‘এবারের মেলায় চিকিৎসকদের যত বই’।
শহীদ ডা. মিলনকে নিয়ে অধ্যাপক কামরুল হাসানের বই
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, একাধারে একজন গবেষক, লেখক ও সংগঠক। পেশার পাশাপাশি জাতীয় ও স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন জাতীয় দৈনিকগুলোতে। সারাদিন খুবই ব্যস্ত সময় পার করেন। শতব্যস্ততার পরও সহযোদ্ধার স্মৃতিকে স্মরণ রাখতে লিখেছেন বই। পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখাগুলো নিয়ে এবার বই মেলায় বেরিয়েছে ‘৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মিলন’।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ভূমিকা নিয়ে লেখা বইটি শহীদ ডা. মিলনের রত্নগর্ভা মা মিসেস সেলিনা আক্তারকে উৎসর্গ করেছেন শহীদ বন্ধু অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বইটিতে ডা. মিলনের জীবনীর কিছু অংশ, তাঁর হাতের লিখা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি আছে।
একই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন দুই বন্ধু। এক সঙ্গেই সংগঠন করেছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। হুলিয়া নিয়ে পালিয়েও বেড়িছেন এক সঙ্গেই। এমনসব স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা স্থান পেয়েছে বইটিতে।
আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি অমর একুশে বইমেলার প্যাভিলিয়ন নং ১০ এ পাওয়া যাচ্ছে।
বিএসএমএমইউ ভিসির দুই বই
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ, গুণী শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের দুটি বই।
এক্সাইমিনেশন টেকনিকস এন্ড শর্ট কেসেস ফর পোস্ট-গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অব অফথালমোলজি—শিরোনামে অন্ধত্ব নিবারণ সংক্রান্ত উচ্চতর মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার বইটি মেলায় হাওলাদার প্রকাশনীর স্টল নং-৩৩৭, ৩৩৮ ও ৩৩৯ এ পাওয়া যাচ্ছে। আর নক্ষত্র প্রকাশনীর স্টল নং-৯৯ এ পাওয়া যাচ্ছে মেলায় লেখকের দ্বিতীয় বই ‘চেতনায় বঙ্গবন্ধু মননে জননেত্রী।’
অন্ধত্ব নিবারণ সংক্রান্ত—বইয়ের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক্সাইমিনেশন টেকনিকস এন্ড শর্ট কেসেস ফর পোস্ট-গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অফ অফথালমোলজি’ বইটি উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এটি অন্ধত্ব নিবারণে বিরাট অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
চেতনায় বঙ্গবন্ধু মননে জননেত্রী বই সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই অনুভূতি থেকেই আমার এই প্রয়াস। স্বাস্থ্যখাতকে ও দেশের সামগ্রিক বিষয়কে যেভাবে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে নিয়ে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের পথেই এগিয়ে চলছেন জননেত্রী শেখ হাসিনাও।’
ইতোমধ্যে মেডিকেল শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক তাজুল ইসালামের বই ‘সিজোফ্রেনিয়া’
এবারের অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ব্রেনের রোগীদের নিয়ে জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম কাজলের লেখা বই ‘সিজোফ্রেনিয়া একটি চিকিৎসা যোগ্য রোগ’। ইতিমধ্যে এশিয়া পাবলিকেশন্স থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ডা. তাজুল মেডিভয়েসকে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় রোগ হলো সিজোফ্রেনিয়া। এই রোগে আক্রান্তদেরকে মানুষ বলে পাগল ও উন্মাদ। আর কিছু রোগী আছে শুধু কানে ‘গায়েবি’ কথা শুনে, কারও ভ্রান্ত বিশ্বাস, বিশৃঙ্খল ও উদ্ভট আচরণ করে ও চিন্তায় ত্রুটি থাকে। অর্থাৎ পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়ায়, বড় বড় হাসপাতাল বা পাবনা মানসিক হাসপাতালে বছরের পর বছর রেখে দেওয়া হয়। কারও ভাগ্যে চিকিৎসা জুটে, কারও জুটে না, তারা বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। বইয়ের মধ্যে এসব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
বইয়ের কোন কোন বিষয় পাঠককে আকৃষ্ট করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে জটিল রোগগুলোর অন্যতম এটি। বইটির মাধ্যমে এই রোগ সম্পর্কে জানা যাবে। এই রোগে যারা ভোগেন, তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা জানেন, এই রোগ নিয়ে তাদের যন্ত্রণা, সমস্যা ও চিকিৎসা কতটুকু? কত রকমের গাফিলতি হয়। এই রোগটিকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয়। রোগীদের সঙ্গে কিভাবে চলতে হয় এবং বুঝতে হয়।
অধ্যাপক মামুন আল মাহতাবের বই কোভিড-১৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) রচিত কোভিড-১৯ বইটি নিয়ে এসেছে মাওলা ব্রাদার্স।
করোনা শুরুর পর থেকেই অধ্যাপক স্বপ্নীল কখনো চিকিৎসক, কখনো গবেষক, কখনো কোভিড রোগী আর কখনো নিউ নরমাল জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা আর অন্য সবার মতোই চলমান মহামারীকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি গত দুটি বছরে নিয়মিত কলাম লিখেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও দেশের প্রথম শ্রেণীর নিউজ পোর্টালগুলোয়। এমন শতাধিক কলাম থেকে বাছাই করা ৬৩টি কলামের সংকলন অধ্যাপক স্বপ্নীলের এই সর্বশেষ ‘কোভিড-১৯’ বইটি।
নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে ডা. ছাবিকুন নাহার বই
নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখা নিয়ে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ছাবিকুন নাহারের বই ‘রোগী কথন’। পেন্সিল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে নারীদের জটিল রোগগুলো নিয়ে সচেতনতামূলক বেশ কিছু লেখা।
নিজের লেখা প্রথম বইয়ের নানা তথ্য তুলে ধরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) ১৯৯৮-৯৯ সেশনের এ শিক্ষার্থী জানালেন, ‘আমরা যারা গাইনি বিষয় নিয়ে কাজ করি, তাঁদের রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা জরুরি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। নারীদের এমন কিছু জরুরি অবস্থা হয়ে যায়, যখন তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা কিংবা অপারেশনে যাওয়া না গেলে জীবন-মরণের প্রশ্ন চলে আসে। সন্তান প্রসবের সময় মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত, সন্তান মরে যাওয়া—এ জাতীয় সমস্যাগুলো খুবই গুরুতর। এর সাথে জীবন কিংবা সংসার জড়িয়ে যায়। জটিল এসব বিষয় অনেক সময় চিকিৎসকরাও জানেন না, বিশেষ করে যারা গাইনি বিশেষজ্ঞ না। সুতরাং সাধারণ মানুষ তো আরো অন্ধকারে। এখন এ জাতীয় দুর্ঘটনা বা ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা যদি তাঁর জীবনে কিংবা স্বজনদের জীবনে যদি আসে, তাহলে সে কীভাবে সামাল দেবে? কিংবা সে সাহায্য চাইবে কিভাবে, বা কার কাছে গিয়ে চাইবে? যদি তার সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারেন, তাহলে সে হয়ত বুঝবেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি অমুক ব্যক্তির কাছে গেলে সমাধান পাবো।’
ডা. ছাবিকুন নাহার বলেন, ‘তাদেরকে কিভাবে জানানো যায়? আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা যারা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করি, তারা কথা বলবো। আর লেখালেখি তো দালিলিক বিষয়, এটা তথ্য আকারে থেকে যাবে। উন্নত বিশ্বে এ বিষয়ে অনেক লিফলেট পাওয়া যায়, ডাক্তারের চেম্বার অথবা হাসপাতালে। কিন্তু আমাদের দেশে তা অপ্রতুল। আমাদের দেশে এ সংস্কৃতি ভালোভাবে শুরু হয়নি। আমার কাছে অনুভূত হতো, বিষয়গুলো বলা দরকার। তাই একটু একটু করে বলেছিলাম। কিন্তু এতো সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে নয়। ক্ষুদ্র প্রয়াসটুকুই আজকে বইয়ে রূপ নিল।’
ডা. আবু বকর আকনের বই নীলাঞ্জনা ও একটি জোনাকি রাত
প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু বকর আকনের নবম কবিতার বই ‘নীলাঞ্জনা ও একটি জোনাকি রাত।’ বাঙালি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটিতে স্থান পেয়েছে ৩৯টি কবিতা। কবিতাগুলোতে প্রেম, বিচ্ছেদ, বেদনা ও বিদায় ইত্যাদি পাঠকদের জন্য নানা বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বইটির বিভিন্ন দিক বর্ণনা দিতে গিয়ে ডা. আকন মেডিভয়েসকে বলেন, বই লেখা হয় মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। অন্তর থেকে যেসব অভিব্যক্তি অনূভুত হয়, এটি কলমের সাহায্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বই আকারে প্রকাশ পায়। ‘নীলাঞ্জনা ও একটি জোনাকি রাত’ বইটিতে স্থান পেয়েছে জীবনমুখী কিছু প্রেমের অংশ। বইটি শুধু একজন নারীকে কল্পনায় এনে লেখা হয়েছে। যার সাথে প্রেম, বিচ্ছেদ, বেদনা ও বিদায় ইত্যাদি রয়েছে। কাল্পনিক চরিত্র নীলঞ্জনাকে এই বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে।
ডা. নিসর্গ মেরাজের বই খেমারদের দেশে
উপকথা প্রকাশন নিয়ে এসেছে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরীর ভ্রমণ কাহিনীধর্মী গ্রন্থ খেমারদের দেশে।
বইটি উপজীব্য নিয়ে লেখক ডা. নিসর্গ মেরাজ মেডিভয়েসকে বলেন, উপকথা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি মূলত ভ্রমণ কাহিনীধর্মী। প্রথম যখন ক্যাম্বোডিয়ার কথা শুনি, তখন এর নাম ছিল কাম্পুচিয়া। সেই দেশটির অন্যতম প্রধান অধিবাসী জাতির নাম খেমার। সেই নামের সাথে জড়িত খেমার রুজ নামের একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী দলের। তারা পতন ঘটিয়ে ছিল গণতন্ত্রের। তারও আগে তারা রাজতন্ত্রকে বিদায় বলে রাজাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল গণতন্ত্র। সেই দেশটি ইতিহাসের পাতায় কখনো অনেক আলোচিত, কখনো একেবারে নিষ্প্রভ। এই খেমার জাতিই হাজার বছর আগে গড়ে তুলেছিল পৃথিবীর বৃহত্তম মন্দির এং কর ওয়াট। সৃজন করে নতুন রাজ্য খেমার রাজ্য। একবিংশ শতাব্দীর এই বর্তমান থেকে আমার পর্যবেক্ষণ ছিল, সেই প্রাচীন রাজ্যের ইতিহাসের প্রতি। ছিল ইতিহাসের এক কালো বাহিনী খেমার রুজের বর্বরতার চাক্ষুস সত্যতার পর্যালোচনা। পৃথিবীর সব যন্ত্র, মন্ত্র, তন্ত্রের ভিড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গড়ে ওঠা আজকের ক্যাম্বোডিয়াকে দেখা, সেই প্রাচীনত্বের সহাবস্থানে। আর এই নিয়ে ফিকশন-ননফিকশন ধাঁচের মেলবন্ধনে আমার লেখা বই ‘খেমারদের দেশে।’
বইমেলায় ডা. রাজ কামালের গল্পগ্রন্থ ‘রাত্রির যাত্রী’
একুশে বইমেলায় এসেছে ডা. রাজ কামাল আহমেদের প্রথম গল্প গ্রন্থ ‘রাত্রির যাত্রী’। গৌরব প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটিতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১৫টি গল্প। এসব গল্পের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে নেট দুনিয়ার কুফলের পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয় বিষয়ে একাধিক বার্তা।
গল্প গ্রন্থের ভিন্নতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডা. রাজ কামাল আহমেদ মেডিভয়েসকে বলেন, রাত্রির যাত্রী বইয়ে স্থান পেয়েছে জীবনমুখী কিছু গল্প। এগুলো ভৌতিক, রোমান্টিক ও রম্য গল্প। বাস্তবধর্মী প্রতিটি গল্পেই ভিন্ন ভিন্ন বার্তা পাবেন পাঠক। এতে জায়গা পেয়েছে নেট দুনিয়ার কুফল সম্পর্কিত একটি গল্প। জীবন ঘনিষ্ট গল্পটিতে টিনএজার মেয়েদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার ও কুফল সম্পর্কে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। রম্যগুলোতে গল্প-রসের মিশেলে কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে এখানে এমন কিছু গল্পের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে, যা পড়ার সাথে সাথে পাঠকবৃন্দ এর চমৎকারিত্বে অভিভূত হবেন, অনুভব করবেন ভিন্নতা।
এক নজরে আলো ছড়ানো আরও কিছু বই
মেলায় আছে জনপ্রিয় ছড়াকার ডা. রোমেন রায়হানের তিনটি ছড়ার বই। এগুলো হলো: পিপীলিকা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, যতবড় মুখ নয় তত বড় ছড়া এবং ছড়াসমগ্র ১।
এ ছাড়া বিদ্যাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালের দেহতরীর মনমাঝি, অধ্যাপক ডা. নাজমুন নাহারের সতের নাম্বার বকশিবাজার ও ডা. সাকলায়েন রাসেলের আমারও লিখতে ইচ্ছে হলো বইটি পাঠক মন ছুঁয়েছে।
অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরীর করোনাভাইরাসের সঙ্গে মাদক ও তামাকের সম্পর্ক বইয়ে দেওয়া স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা।
স্বরে-অ প্রকাশনী নিয়ে এলো ডা. কামরুল হাসান রাহাতের গল্প গ্রন্থ দ্বিতীয় মস্তক। এ ছাড়াও ডা. তাসনিয়া আহমেদের দুইশো তেরোর গল্প এবং ডা. ইমাম সিদ্দিকের যৌথ গল্পের বই প্রেসক্রিপশন-২।
-
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
সাহিত্য চর্চায় সুযোগের জন্য সাবজেক্ট পরিবর্তন করি
পরিমার্জন-পরিবর্ধনে শুদ্ধতম সাহিত্যই কবিতা: ডা. হারিসুল হক
-
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
-
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
-
২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন
-
২২ জানুয়ারী, ২০২৩
-
১৫ মার্চ, ২০২২
-
১০ মার্চ, ২০২২
-
০৬ মার্চ, ২০২২
-
০৫ মার্চ, ২০২২
-
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২