মেলায় অধ্যাপক তাজুল ইসালামের নতুন বই ‘সিজোফ্রেনিয়া’

সাখাওয়াত হোসাইন: এবারের অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাবে ব্রেনের রোগীদের নিয়ে জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম কাজলের লেখা বই ‘সিজোফ্রেনিয়া একটি চিকিৎসা যোগ্য রোগ’। ইতিমধ্যে এশিয়া পাবলিকেশন্স থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. তাজুল মেডিভয়েসকে বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় রোগ হলো সিজোফ্রেনিয়া। এই রোগে আক্রান্তদেরকে মানুষ বলে পাগল ও উন্মাদ। আর কিছু রোগী আছে শুধু কানে ‘গায়েবি’ কথা শুনে, কারও ভ্রান্ত বিশ্বাস, বিশৃঙ্খল ও উদ্ভট আচরণ করে ও চিন্তায় ত্রুটি থাকে। অর্থাৎ পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়ায়, বড় বড় হাসপাতাল বা পাবনা মানসিক হাসপাতালে বছরের পর বছর রেখে দেওয়া হয়। কারও ভাগ্যে চিকিৎসা জুটে, কারও জুটে না, তারা বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইকিয়াট্রিকের সবচেয়ে বড় রোগ সিজোফ্রেনিয়া, তারপর মেনিয়া, ডিপ্রেশন, অবসেশান-ফোবিয়া। এ ছাড়া আরও রোগ রয়েছে। আমরা আসলে যাদেরকে পাগল রোগী মনে করি, তারা পাগল রোগী নয়, তারা ব্রেনের রোগী। এটা জানা নেই বলে তাদেরকে সবাই পাগল বলে এ ভাবে ঘৃণা অবজ্ঞা অবহেলা করতে থাকি। তারা আসলে ব্রেনের রোগী।’
বইয়ের কোন কোন বিষয় পাঠককে আকৃষ্ট করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে জটিল রোগগুলোর অন্যতম এটি। বইটির মাধ্যমে এই রোগ সম্পর্কে জানা যাবে। এই রোগে যারা ভোগেন, তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা জানেন, এই রোগ নিয়ে তাদের যন্ত্রণা, সমস্যা ও চিকিৎসা কতটুকু? কত রকমের গাফিলতি হয়। এই রোগটিকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয়। রোগীদের সঙ্গে কিভাবে চলতে হয় এবং বুঝতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে রয়েছে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ ও কারণ? ব্রেনে কি কি যন্ত্রপাতি কাজ করে। সব কিছু বিস্তারিত লেখা আছে। চিকিৎসার ব্যাপারে ইনজেকশন, ওষুধ চিকিৎসা, বিভিন্ন সামাজিক পুনর্বাসন, ভিত্তিমূলক সোস্যাল পুনর্বাসন অর্থাৎ সব ধরনের চিকিৎসা সম্পর্কে লেখা আছে।
তিনি আরও বলেন, সিজোফ্রেনিয়ার কিছু বিষয় রয়েছে, যা চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা যায়। বইয়ের মধ্যে লেখা আছে। কোন স্তরে কোন ধরনের ওষুধ দিতে হবে, যে রোগ সহজে ভালো হয় না, সেগুলোর জন্য আধুনিক ওষুধ কি কি আছে এবং কি কি ব্যবস্থা আছে।
ডা. তাজুল বলেন, এটি এমন একটি বই, যেটা প্রতিটি চিকিৎসক, সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিক ও প্রতিটি সিজোফ্রেনিয়ার রোগীর আত্মীয়-স্বজনের জন্য পড়া অপরিহার্য। আর যারা মানসিক রোগ সম্পর্কে জানতে চান, মানসিক রোগী যে পাগল নয়, ব্রেনের রোগ এই বইয়ের মাধ্যমে জানা যাবে। যাদের আগ্রহ আছে, কিভাবে ব্রেন আমাদের চিন্তা-স্বভাব নিয়ন্ত্রক করে—এগুলো বুঝতে হলে বইটি পড়তে হবে।
লেখকের বেড়ে ওঠা
চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন ডা. তাজুল ইসলাম। তারা ৫ ভাই, এক বোন। তিনি মতলব হাই-স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন। এরপর ঢাকা কলেজে থেকে ইন্টারমিডিয়েট। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের সরাসরি ছাত্র ছিলেন তিনি। তারপর চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস করেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালে এফসিপিএস পাস করেন তিনি। ২৬ বছর ধরে সাইক্রিয়াটিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
-
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
সাহিত্য চর্চায় সুযোগের জন্য সাবজেক্ট পরিবর্তন করি
পরিমার্জন-পরিবর্ধনে শুদ্ধতম সাহিত্যই কবিতা: ডা. হারিসুল হক
-
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
-
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
-
২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন
-
২২ জানুয়ারী, ২০২৩
-
১৫ মার্চ, ২০২২
-
১০ মার্চ, ২০২২
-
০৬ মার্চ, ২০২২
-
০৫ মার্চ, ২০২২
-
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২