করোনার পরবর্তী জটিলতায় লতা মঙ্গেশকরের বিদায়

মেডিভয়েস ডেস্ক: টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর চলে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। আজ রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এন সান্থানাম লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে জানান, কোভিড পরবর্তী জটিলতায় সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মৃত্যু হলো লতা মঙ্গেশকরের। তার দেহ শিবাজি পার্কে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে লতা মঙ্গেশকরকে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় লতাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে এই শিল্পীর। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো তাকে।
হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে বিভিন্ন সময়ে লতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি এবং অবনতির খবর এলেও সর্বশেষ শনিবার আবার তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিছুটা সাড়া দিচ্ছেন লতা। তার বিভিন্ন থেরাপি চলছে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি এ সংগীতশিল্পীর।
লতা মঙ্গেশকরের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ইন্দোরে মারাঠি পরিবারে। তার বাবা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন শাস্ত্রীয়সংগীত শিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। মা শেবান্তি ছিলেন গৃহিণী।
তিনি ৩০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। তাঁর কণ্ঠে সুর পেয়েছে বিভিন্ন ভাষা। ২০০১ সালে বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘ভারত রত্ন’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়া দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ সব প্রাপ্তিই যুক্ত হয়েছে তাঁর ক্যারিয়ারে।
বিশেষ সাক্ষাৎকার
ইন্টার্নদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা হওয়া উচিত: মুগদা মেডিকেল অধ্যক্ষ
আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন
