দুই পয়সার রসগোল্লা

সাদিয়া একটি অসহায় মেয়ে। বিয়ের বয়স ১০ বছর। বাচ্চা না হওয়াতে কটু কথার অত্যাচারে জর্জরিত। যেন বাচ্চা হবার সব দায়ভার মেয়েদের। যেদিন আবিষ্কার হোল যে সাদিয়ার স্বামী এজোস্পার্মিক সেদিনও ঐ বুদ্দ্বু মেয়েটি শ্বশুড় শ্বাশুড়ীকে গোপন করে গেছে স্বামীর কথা।
টেস্ট টিউব চিকিৎসা, ইকসি দরকার। টাকা নেই। কান্নাকাটির যন্ত্রনায় আমাদের নিজেদের জায়গা ছেড়ে যাবার উপক্রম।
বললাম, আমি বাবুর্চি হিসেবে তোমাকে বিনে পারিশ্রমিকে কাচ্চি বিরিয়ানী রান্না করে দিব, হাড়ি পাতিলের ভাড়াও নিবনা, কিন্তু খাসীর মাংস, ঘি, মসলা, চালের দাম কে দেবে?" আচ্ছা ওটুকু সে যোগাড় করতে পারবে।
অবশেষে চিকিৎসা হোল। বাচ্চাও হোল। মেয়ে বাচ্চা। খুব খুশী। আর আমাদের জন্য দোয়া।
দু' বছর পর আবার তার আগমন। দ্বিতীয় বাচ্চার জন্য। কিভাবে করবে? ম্যাডামের দয়া। না হবে না। সব দয়া একজনার জন্য নয়। নাছোড় বান্দা। আবারও করা হোল। এবারে আর ফল হলনা।
বুঝালাম একটি বাচ্চাই যথেষ্ঠ। উত্তর দিল, " শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর ইচ্ছে একটি ছেলে বাচ্চার। তাদের কথা, সংসারে একটি ছেলে না থাকলে কি চলে?" হতবাক হয়ে নির্বাক হয়ে গেলাম।
মনে পড়ল একটি গল্পের কথা। এক লোকের খুব রসগোল্লা খেতে ইচ্ছে হোল। তার আছে দুই পয়সা। রসগোল্লার দাম চার পয়সা। কান্নাকাটি করে দোকানীকে রাজী করাল। একটি রসগোল্লা দিতে সে বলল, আরও একটু হোত্ (রসগোল্লার সিরা, বরিশালের হোত্) দেন।
দোকানী অবাক হয়ে: দুই পয়সার রসগোল্লা আবার হোত্ও।
বিশেষ সাক্ষাৎকার
ইন্টার্নদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা হওয়া উচিত: মুগদা মেডিকেল অধ্যক্ষ
আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন

পিতাকে নিয়ে ছেলে সাদি আব্দুল্লাহ’র আবেগঘন লেখা
তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার, আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা
