নাইটিংগেল মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ঢাকার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ থেকে নিবন্ধিত অন্য কোনো মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন মিঠু। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম ও হারুনুর রশিদ।
জালাল উদ্দিন মেডিভয়েসকে বলেন, অফিসিয়ালভাবে নোটিসটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পৌঁছানোর ১০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার মাইগ্রেশন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই মেডিকেলের শিক্ষার্থী ইমরান খান ইমন মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আদালতের অনুমোদন নিয়ে যেহেতু আমাদের ভর্তি করা হয়েছে, সেহেতু অবশ্যই আমরা প্রতিষ্ঠানটির বৈধ ছাত্র। এ অবস্থায় আমাদের দ্বায়ভার অবশ্যই স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নেওয়া উচিত। এই মেডিকেল কলেজটিতে কোনো রোগী, ভালো চিকিৎসক ও শিক্ষক নেই। আমাদের অন্য একটি মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে ৬০ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের পাশাপাশি ৬০টি পরিবারের ভবিষ্যতও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। দয়া করে আপনারা আমাদের এই অবস্থা থেকে বাঁচান।’
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন চেয়ে আবেদন করেন।
সেই আবেদনে সাড়া না পাওয়ায় গত ২৮ অক্টোবর নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ থেকে নিবন্ধিত কোনও মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন চেয়ে তাবাসসুম সুলতানা, ইমরান খান ইমন, সানজিদা ইসলাম জ্যোতি, নওরিন ফারজানা সুপ্তা, সাবিহা সুলতানা ডায়না, সুমাইয়া ইসলাম সিমু, সুমনা আক্তার, হাজেরা খাতুন, ফেরদৌসি আক্তার তালুকদার,সোনিয়া ইসলাম আঁখি, রোকেয়া আক্তার লিজাসহ ৪৫ শিক্ষার্থী এ রিট দায়ের করেন।