অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে চমেক ইচিপ’র সংবাদ সম্মেলন

মেডিভয়েস রিপোর্ট: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তারের পদত্যাগ চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী নগর ছাত্রলীগের একাংশ ও চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের (ইচিপ) নেতারা।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন এ দাবি জানান তারা।
গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক প্রধান ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া ক্যাম্পাস খুলতে গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা বসে। এতে ২৭ নভেম্বর থেকে ক্যাম্পাস খোলার পাশাপাশি ৩১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।
সংবাদ দাবি করা হয়, বহিষ্কৃতদের ২৩ জনই নওফেল অনুসারী, বাকিরা প্রতিপক্ষ চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চমেক হাসপাতালে নবগঠিত সংগঠন ইচিপের সভাপতি ডা. কেএম তানভীর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর ‘প্রেসক্রিপশন’ অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। চমেকের একাডেমিক কাউন্সিল বৈধ নয়। তারা ছাত্র বহিষ্কারের নামে পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অধ্যক্ষ দূরভিসন্ধিমূলকভাবে চমেক হাসপাতালের পরিচালককে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমন্ত্রণ জানাননি।’
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ‘চমেক ছাত্র মাহাদি জে আকিবের ওপর হামলার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। হামলাকারী ছিল ১৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নির্দোষ ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জনকে কোনো ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া শুধু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ক্যাম্পাসে গিয়ে মাহাদি হামলার শিকার হন বলেও অভিযোগ তোলা হয় সংবাদ সম্মেলন। ডা. সাহেনা আক্তারকে জামাতের মদদপুষ্ট উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ‘অধ্যক্ষের স্বামী জামাতের অর্থায়নে পরিচালিত আইআইএমসির অধ্যক্ষ। তিনিই মূলত চমেক পরিচালনা করছেন। একাডেমিক কাউন্সিলের জামাতপন্থি শিক্ষকদের অবৈধভাবে উপস্থিত রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইচিপের নেতা খোরশেদুল ইসলাম, মো. সাকি ও প্রণব দেবনাথ প্রমুখ।
