‘স্টেম সেল থেরাপি নারীদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে নবদিগন্তের উন্মোচন করেছে’

মেডিভয়েস রিপোর্ট: নারীদের বন্ধ্যত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগে ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল থেরাপি প্রতিস্থাপন ইনফার্টিলিটি চিকিৎসায় নবদিগন্তের উন্মোচন করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকে ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল থেরাপি প্রতিস্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘স্টেম সেল চালু হওয়ায় প্রাথমিক ওভারিয়ান ফেলিউরের কারণে যে বন্ধ্যত্বের সৃষ্টি হয় তার অবসান ঘটবে। যে নারী মা ডাক শুনতে পায় না, তাঁর মতো দুঃখী আর কেউ নাই। সন্তান না হওয়ায় অনেকের সংসার স্থায়ী হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগ দেশে বন্ধ্যত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই বিভাগের আরও আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বক্তারা জানান, বর্তমান সময়ে নানাবিধ কারণে ডিম্বাশয়ে ডিম্বানুর স্বল্পতাজনিত বন্ধ্যত্বের সমস্যা উল্লেখজনক হারে বেড়ে চলেছে। এসব রোগীদের প্রাকৃতিকভাবে বা স্বাভাবিক উপায়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের বায়োলজিক্যাল মা হবার সম্ভাবনা থাকে না বলে ডোনার ডিম্বানু বা ভ্রুণের উপর নির্ভর করতে হয়, যা আমাদের দেশে সামাজিক বা ধর্মীয় বিধি নিষেধের জন্য সম্ভব হয় না। ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল ইনজেক্ট বা প্রতিস্থাপনের ফলে নতুন ডিম্বানু তৈরির করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইনফার্টাইল রোগীদের বায়োলজিক্যাল মা হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক সংযোজন।
প্রসঙ্গত, এ সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টেম সেল প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যত্ব চিকিৎসায় নবদিগন্তে প্রবেশ করলো বিএসএমএমইউ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি ও ইনফাটিলিটি বিভাগ। স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে নিজস্ব ডিম্বানু থেকে সন্তান লাভ করতে সক্ষম হয়। এই বিভাগে বহির্বিভাগ সেবা, বিশেষ ক্লিনিক সেবা, বিভিন্ন ধরণের অভ্যন্তরীণ সেবা, বিভিন্ন ধরনের অপারেশন, ল্যাব সুবিধাসহ বহুবিধ চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার প্রতিবেদনে সুপারিশ
রোগী থেকে সরাসরি টাকা গ্রহণ নয়, চিকিৎসক হবেন বেতনভুক্ত কর্মচারী
