ডিসেম্বরে স্পেশালাইজড হাসাপাতালের উদ্বোধনের লক্ষ্যে কাজ চলছে: ভিসি
মেডিভয়েস রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নির্মাণাধীন ৭০০ শয্যা বিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই সম্পন্ন করার জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লী জাং-কিউনের (Mr. LEE Jang-Keun) নির্মাণাধীন হাসপাতাল পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের সরকার প্রধান বিজয়ের মাসে যাতে সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতালের শুভ উদ্বোধন করতে পারেন, সেজন্য দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য এই হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ তিনি।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা আরো কমে যাবে। এর মাধ্যমে দেশের চিকিৎসাসেবা খাত আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। দেশের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মি. লী জাং-কিউন বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুধু বাংলাদেশ নয়, কোরিয়ার জন্যও অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদাপূর্ণ। হাসপাতালটি বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করবে। সবচাইতে বড় কথা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্ট্রাকচারাল কার্যক্রম ১০০ শতাংশ, আর্কিটেকচারাল ও সিভিল ওয়ার্ক ৮৫ শতাংশ, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম ৮০ শতাংশ, হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেমসহ (এইচআইএস) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ৬০ শতাংশসহ যাবতীয় কার্যক্রমের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুস সালাম খান, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের ঢাকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. জুন সিডাক (Mr. Jun Siduk), উপ-প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ নূর-ই- এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।