অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না: শিক্ষামন্ত্রী

মেডিভয়েস রিপোর্ট: করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলার পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্বাস্থবিধি মানলেও অধিকাংশ অভিভাবক সেটা মানছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নিজের সন্তানকে স্কুলে দিতে ও নিতে এসে অভিভাবকরা বাইরে জটলা তৈরি করছেন, যা স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অভিভাবকরা অধিকাংশ জায়গাতে তা মানছেন না।’
ক্লাস পুরোদমে শুরু করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে। সংক্রমণের হার কমে এলে সব ক্লাসই নেওয়া যাবে। তবে হার যদি বেড়ে যায় তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী কারিগরি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি। প্রতিষ্ঠানের কোথাও দৃশ্যমান আবর্জনা থাকলেও সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়েও আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকা দেওয়া শেষে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উপাচার্যদের।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধন শেষ হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। আবার যে যেখানে আছেন স্থানীয় টিকাকেন্দ্রে গিয়েও টিকা নিতে পারবেন। আর সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বরের পরে যেকোনও দিন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবে’ যোগ করেন ডা. দীপু মনি।
এ সময় নতুন কারিকুলামের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে ২০২২ সালে। আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সাল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্রমের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছেন। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না। এ বিষয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছিলেন। নতুন কারিকুলামে সেটা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।