ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

মেডিভয়েস রিপোর্ট: উপমহাদেশে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আনুষ্ঠানিকভাবে এর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনা দেবে সরকার।
আজ রোববার (২৩ মে) দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ বিষয়টি নিয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি যেটি আছে তাঁরা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করেছেন। তারাই একটি পরামর্শ চূড়ান্ত করবেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেরা কথা বলেছি। আমরা বিভিন্ন জেলাগুলোতে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন আমরা দেবো।’
করোনা ভারতীয় ধরনের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দেশে নয়টি ভারতীয় ধরনের অস্থিত্বের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। জিনোম-সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি, রিপোর্ট হাতে এলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে। শঙ্কার বিষয় হলো, ভারতীয় ধরন সংক্রমণ করার সক্ষমতা অনেক বেশি।’
এ অবস্থায় করোনা প্রতিরোধ হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার মতো যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই কাজগুলো আরও জোরে-সোরে করতে হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, করোনা রোগীদের শরীরে ঘটা এক প্রকার ছত্রাকের সংক্রমণকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগকে চিহ্নিত করা হচ্ছে মিউকোরমাইকোসিস নামে। শরীর দুর্বল হলে মূলত বাসা বাধে এই ছত্রাক। বিশেষত দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে থাকা করোনা রোগীর দেহে স্টেরয়েডের ব্যবহার বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে একে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
