রাস্তায় হয়রানি না থামলে চিকিৎসকরা উৎসাহ হারাবে: বিএমএ
মেডিভয়েস রিপোর্ট: চলমান লকডাউনের মধ্যে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনিকে হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেন (বিএমএ)।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলে এবং রাস্তায় ক্রমাগত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হয়রানি ও নাজেহাল চলতে থাকলে নানা ধরনের মানসিক চাপে বিপর্যস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীগণ তাদের কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের বৃহৎ এ সংগঠনটি।
সংগঠনটি বলছে, ক্রমাগত এধরনের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার কারণে বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অবহিত করার পরও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলে এবং রাস্তায় ক্রমাগত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হয়রানি ও নাজেহাল করতে থাকলে নানা ধরনের মানসিক চাপে বিপর্যস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীগণ তাদের কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। যার প্রভাব বর্তমান নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পড়তে বাধ্য।
অনুগ্রহপূর্বক গতকালের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। ভবিষ্যতে এধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের জানায় বিএমএ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলমান লকডাউনে করোনা মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ কর্মস্থলে যাতায়াতকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক হয়রানী ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এধরনের ঘটনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ আতংকগ্রস্থ ও হতাশ হয়ে পড়ছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদা শওকত জেনীর গাড়ী আটকিয়ে পরিচয় জানতে চাওয়ার নামে একজন নারী চিকিৎসককে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তার খবর ও আংশিক ভিডিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজ গাড়ীতে কর্মরত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের স্টীকার লাগানো এবং নিজের নামাঙ্কিত চিকিৎসক গাউন পরিহিত অবস্থায় নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে আক্রমনাত্ত্বকভাবে জেরা করে উত্যক্ত ও হেনস্থা করার খবর দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।’
চিকিৎসকের এতোগুলো পরিচয় দেওয়ার পরও কেবলমাত্র মুভমেন্ট পাস ও প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ডের নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এহেন আচরন কোনভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সচিবালয় কিংবা পুলিশ কিংবা সাংবাদিক লেখা ষ্টীকারযুক্ত কোন গাড়ী কোথাও আটকানো হয়েছে বা থামানো হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত নজীর নাই। অধিকন্তু বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট চিকিৎসকই প্রাইভেট প্রাকটিসের সাথে জড়িত তাঁরা সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেননা ফলে তাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ডও নেই।’
ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের জানানো হয় বিএমএর বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে লকডাউনের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
-
১০ জুলাই, ২০২১
-
১০ জুলাই, ২০২১
-
১৯ এপ্রিল, ২০২১
-
১৯ এপ্রিল, ২০২১
-
১৯ এপ্রিল, ২০২১
-
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
২৫ জানুয়ারী, ২০২১
-
২৬ ডিসেম্বর, ২০২০