ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম
এমবিবিএস, এমএসসি, পিএইচডি,
সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য।
১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৩১ পিএম
দ্বিতীয় ওয়েভের গতিবিধি বুঝতে দিনে দেড় লাখ টেস্ট জরুরি
ইন্ডিয়াতে শনিবার (১৭ এপ্রিল) করোনা শনাক্ত হলো আড়াই লাখের উপরে। এটা দৈনিক রোগ শনাক্তে বিশ্ব রেকর্ড। এই আড়াই লক্ষ কোভিড রোগ শনাক্ত করতে দেশটিকে কতগুলো টেস্ট করতে হয়েছে? তারা আজ একদিনে টেস্ট করেছে ১৫ লক্ষের উপরে! এই টেস্ট কী তারা সব করেছে আরটি-পিসিআরে? অবশ্যই না। এত টেস্ট আরটি-পিসিআর করে করা সম্ভব না। ইন্ডিয়া অনেক দিন ধরেই করোনা শনাক্তে আরটি-পিসিআরের পাশাপাশি রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করছে।
বাংলাদেশে এই সময়টিতে যখন টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো উচিত অনেকগুণ, তখন তা কমছে! শনিবার (১৭ এপ্রিল) টেস্ট হয়েছে মাত্র ১৬, ১৮৫টি! ১২ এপ্রিল যা ছিল প্রায় ৩৫ হাজার। বাংলাদেশে আজকের টেস্ট সংখ্যা ইন্ডিয়ার টেস্ট সংখ্যার চেয়ে ছিল ৯৪ গুণ কম! বাংলাদেশের জনসংখ্যা ইন্ডিয়ার চেয়ে ৮ গুণ কম। সেক্ষেত্রে টেস্টের সংখ্যা বড়জোড় ৮ গুণ কম হতে পারে। কেননা, দু’দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা একই রকম।
বাংলাদেশে এখন কম করে হলেও দৈনিক এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টেস্ট করা উচিৎ। এভাবে টেস্ট করতে পারলে হয়ত দেশের করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের গতিবিধি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। এতে সরকারও মহামারী দমনে সঠিক সময়ে কার্যকর সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারবে, যা এখন খুবই জরুরি।
আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) দেশের ইতিহাসে একদিনে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ হাজার ৩৮৫ জন। এ সময় আরও তিন হাজার ৬৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে ২৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৯২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি। পরীক্ষায় আরও তিন হাজার ৬৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষার হার ১৯ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৩ শংতাশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩