এমআরসিপি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া ডা. জেসী হককে সংবর্ধনা
মেডিভয়েস রিপোর্ট: মেম্বারশিপ অব দ্য রয়েল কলেজস অব ফিজিশিয়ান্স অব দ্য ইউনাইটেড কিংডম (এমআরসিপি) পরীক্ষায় সারাবিশ্বে প্রথম স্থান অধিকারী তরুণ চিকিৎসক মাহমুদুল হক জেসিকে (ডা. জেসি হক) সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ রোববার (১৪ মার্চ) এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় ডা. জেসীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপু-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।
৩৯তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ডা. মাহমুদুল হক জেসি। বর্তমানে জেলার জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
ডা. জেসি হকের বেড়ে ওঠা
ডা. মাহমুদুল হক জেসির বাড়ি ঢাকার কেরাণীগঞ্জের আমিরাবাগ এলাকায়। ২০০৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে প্রথমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) ভর্তি হন মাহমুদুল হক জেসি। মেধাক্রম ৫৬তম হয়ে থ্রিপল-ইতে সুযোগ পান তিনি। সেখানেও রাখেন মেধার স্বাক্ষর। পাঁচ বিষয়ের পরীক্ষায় চারটিতেই তিনি এ প্লাস (সিজিপিএ ৪.০০) পেয়েছিলেন। কিন্তু যান্ত্রিক পড়াশোনায় মন না টেকায় আট মাসের মাথায় চুকান বুয়েটের পাঠ।
পরে তিনি মানুষের শরীর নিয়ে কৌতুহলী হয়ে উঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র দুই মাসের প্রস্তুতিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মেধা তালিকায় ২৯তম হন জেসি হক। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন করেন।
ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে দেশবরেণ্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আজিজুল কাহহারের চেম্বারে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন ডিএমসি কে-৬৬ ব্যাচের এ শিক্ষার্থী।
সেখান থেকেই মূলত মেডিসিনের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে এমআরসিপি পার্ট-১ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরই মাঝে তিনি ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন।
-
১৪ মার্চ, ২০২১
-
২৯ নভেম্বর, ২০২০
এমআরসিপিতে বিশ্বসেরা বাংলাদেশি চিকিৎসক
নম্বরের কথা চিন্তা করে পড়াশোনা করিনি: ডা. জেসি হক