এনআইডি জালিয়াতি
ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৪ এপ্রিল
মেডিভয়েস রিপোর্ট: জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক চিকিৎসক ও জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের পরবর্তী তারিখ পাঁচ এপ্রিল নির্ধারণ করেছে আদালত।
আজ বুধবার (৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সূত্রে জানা যায়, প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগের গত বছরের ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় মামলাটি করা হয়।
আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তা জমা দেয়নি। এ অবস্থায় আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে।
ইসি সূত্র জানায়, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। এর একটিতে জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর। একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন। অপরটিতে মা-বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।
এছাড়াও দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানা ব্যবহার করছেন ডা. সাবরিনা। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা, অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছেন।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ধারায় দায়ের হওয়া এ মামলা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের হওয়ায় মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। ওই মামলায় তাদের বিচার চলছে।