‘ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি নেই, ভবিষ্যতেও হবে না’
মেডিভয়েস রিপোর্ট: প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে স্থানীয় লোকের হার ও চাহিদা অনুযায়ী করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ভ্যাকসিন কোনো ঘাটতি নেই, ভবিষ্যতেও হবে না।
আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রের স্থানীয় লোকের হার ও চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। কিছু কেন্দ্রে এই চাহিদা ও রেজিষ্ট্রেশনের হার তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ কারনে কিছু কেন্দ্রে ভ্যাকসিন স্বল্প সময়ের জন্য কমে গেলেও সময় মতো সেখানে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছুক যেকোন ব্যক্তি সুরক্ষা অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করলে তিনি দুদিন আগে পরে অবশ্যই ভ্যাকসিন পাবেন।
ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে রেজিষ্ট্রেশন করা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি সংখ্যক হলে সেক্ষেত্রে ভ্যকসিন গ্রহণের তারিখ কিছুটা পেছনে চলে গেলেও ভ্যাকসিন পেতে কোন সমস্যা হবে না। দেশে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। এর মধ্যেই ২২ ফেব্রুয়ারী দেশে আরও ২৫ লক্ষ ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন আনা হবে। ফলে ভ্যাক্সিনের অভাব কখনই হবে না এবং দেশের সকলেই ভ্যাক্সিন পাবেন।’
এ সময় জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখে করে বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছি। আমি যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি, তখন শুরু হয়েছিল ডেঙ্গু বিপর্যয়। এরপর করোনা মহামারি। আমরা সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করছি। অনেকে ঘরে বসে নিরাপদে থেকে সমালোচনা করেছেন, কিন্তু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াননি। আমরা মানুষের সেবা দিয়ে গেছি। বিশ্বের অনেক দেশের অবস্থা খুবই নাজুক। বাংলাদেশে প্রত্যেকে চিকিৎসা পেয়েছে হাসপাতালে। শুরুতে যখন করোনাভাইরাসের ব্যবস্থাপনাই কেউ জানতো না, সেখানে অব্যবস্থাপনা কিসের। তবুও আমরা মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছি।’
স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা কোথা থেকে কোথায় এগিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ২০টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনুমোদন দিয়েছেন। ৪ টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ১০ বেডের আইসিইউ বেড, ১০ বেডের ডায়ালাইসিস সেন্টার হচ্ছে। ৮ বিভাগে ৮ টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মানের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী মাস থেকেই।
এছাড়াও অনেক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। সেসব বাস্তবায়ন হলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষকে আর বিদেশে যেতে হবেনা, গ্রামের মানুষকে আর কষ্ট করে ঢাকায় আসতে হবে না। মানুষ নিজ এলাকাতেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ প্রমুখ।