স্বাস্থ্য সেবায় ডিজিটাল ছোঁয়া
পরিবার পরিকল্পনার চার জেলা কাগজমুক্ত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন চারটি জেলার মাঠ পর্যায়ের সব কার্যক্রমকে কাগজমুক্ত (পেপারলেস) ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো: নাটোর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ঝিনাইদহ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিরনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ ঘোষণা দেন।
জেলাগুলোর সকল মাঠ কার্যক্রম পেপারলেস ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এত দিন কলম ও রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে একদিকে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হতো, অন্যদিকে সঠিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না, সেবা গ্রহীতাদের বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। ডিজিটালাইজেশনের আওতায় কাগজমুক্ত হওয়ায় এ চার জেলায় এসব জটিলতা দূর হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সর্বস্তরে তথ্য প্রযুক্তি প্রবর্তন ও প্রচলনের যে যুগান্তকারী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তারই প্রতিফলন হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে নতুন নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা কার্যক্রম সূচিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক (এমআইএস) খান মো. রেজাউল করিম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার সর্বস্তরে যেমন ডিজিটালাইজড করছে, তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যখাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির সেবা কার্যক্রম সূচিত হয়ছে। ই-এমআইএসের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে সেবা কার্যক্রমকে ডিজিটাইজড করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চারটি জেলায় কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ মাঠপর্যায়ের সব কর্মীদের পেপারলেস করেছি। তাদেরকে আমরা উন্নতমানের ট্যাব ও সিম দিয়ে সব কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ে আসতে পেরেছি।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এনডিসি সাহান আরা বানুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বাস্থ্য সেবা সচিব আব্দুল মান্নান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক (এমআইএস) খান মো. রেজাউল করিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড্যাটা ফর ইমপ্যাক্ট’র সিনিয়র স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওনো ভ্যান ম্যানেন, ইউএসএআইড’র জনসংখ্যা, পুষ্টি ও শিক্ষা অফিসের পরিচালক জারজিস সিধওয়া ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
