ভারতে স্বাস্থ্যসেবায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা
মেডিভয়েস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। লকডাউনে ঘরে থেকে কাজ করছে চাকরিজীবিরা। তবে এই অবস্থা সবার জন্য সুফল বয়ে আনেনি। যারা 'দিন আনে দিন খায়'- এমন নাগরিকদের জন্য করোনাভাইরাস অসহনীয় পরিবেশ তৈরি করেছে। তাদের কাজ নেই। প্রতিদিন সংসার চালাতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আর করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। খবর ফরচুন ইন্ডিয়ার।
ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় এসেছে নানা পরিবর্তন। হাজার হাজার মানুষ একসাথে আক্রান্ত হওয়ায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা আরও দ্রুত গতি লাভ করেছে। ভারত সরকার জিডিপির ১.৩ শতাংশ গণস্বাস্থ্যসেবায় খরচ করছে। দশকের পর দশক ধরে ভারতে আকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা কখনও বাস্তবায়ন হয়নি। জনগণের চাওয়ার সঙ্গে জনস্বাস্থ্যসেবার কোনো মিল ছিল না।
হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ডাক্তার, নার্স ও জনশক্তি খুবই কম। এখন পরবর্তী মহামারীর চিন্তাও করতে হচ্ছে। এজন্য অন্য যেকোনো অবকাঠামোর মতোই স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো পরিবর্তিত হচ্ছে ভারতে। দেশটিতে যোগাযোগ, জ্বালানি, টেলিকম খাত উন্নত হলেও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবায় ততটা উন্নয়ন হয়নি দশকের পর দশক।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যসেবায় বাণিজ্যিক পরিবর্তনও এসেছে। স্বাস্থ্যসেবা সেন্টারগুলোতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। হাসপাতাল কর্মীদের আরও অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
এক জরিপে দেখা গেছে, ৯৪ শতাংশ মানুষ লাকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে না। নন-ইমার্জেন্সি চিকিৎসা ও বৈদ্যুতিক সার্জারি একেবারে হচ্ছে না বললেই চলে। বেসরকারি হাসপাতালের অবস্থা আরও খারাপ। হাসপাতালে করোনার বাইরে রোগী নেই। অথচ তাদের প্রাথমিক আয় রোগী দেখার ওপর নির্ভর করে।
ই-ওয়াই ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা খাত বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে। স্বাস্থ্যখাত এক প্রান্তিকে ১৪ হাজার কোটি থেকে ২৪ হাজার কোটি রুপি ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে এবং ২০-৩৫% উপার্জন হ্রাস পেয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ফরচুন ইন্ডিয়া, ই-ওয়াই ইন্ডিয়া
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩