২০ বছর পর বিসিএসে ভাইভার সুযোগ পেলেন ডা. সুমনা সরকার
মেডিভয়েস রিপোর্ট: প্রায় দুই দশক আগে ২০০১ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ সুমনা সরকারকে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসপি) এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সুমনা সরকারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার চৌধুরী। পিএসসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত ২৩তম বিসিএস (বিশেষ) স্বাস্থ্য ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অংশগ্রহণ করে সুমনা প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন। কিন্তু ওই সময় মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণ দেখিয়ে সুমনাসহ অনেক পরীক্ষার্থীর মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়নি। পরে তারা ভাইভা পরীক্ষা দিতে পারেননি।
এরপর ২০০১ সালে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলে সুমনার ভাইভা পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এরকম ছিলেন আরও ২৯২ জন। এর মধ্যে ১২ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এরপর ২০০৩ সালে তাদের মধ্যে থেকে ১২ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরে তারা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে সুমনা হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালে সুমনার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করে পিএসসি। ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত করেন। এরপর দীর্ঘদিন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) আপিল বিভাগের ওই রায়ের মাধ্যমে সুমনার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি হল।
আইনজীবীরা জানান, ২০০৩ সালে সুমনা সরকার ২৩তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন। কিন্তু তার মূল সনদ দেখাতে না পারায় ভাইভা পরীক্ষায় তার কার্ড ইস্যু করা হয়নি।
আইনজীবীরা জানান, আদেশ পাওয়া গেলে জানা যাবে কতদিনের মধ্যে ভাইভা পরীক্ষা নিতে হবে পিএসসিকে।
সুমনা সরকারের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. অমল কৃষ্ণ সরকার টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে আইনজীবীরা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডা. সুমনা সরকার বর্তমানে চট্টগ্রাম লায়েন্স চক্ষু হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তার স্বামী অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
-
০৯ জুলাই, ২০২৩
-
১৫ মে, ২০২৩
-
০৯ মে, ২০২৩
-
১৭ জানুয়ারী, ২০২৩
-
২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
-
১২ অক্টোবর, ২০২২
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
-
১৬ অগাস্ট, ২০২২