বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের সালমা সুলতানা
মেডিভয়েস রিপোর্ট: ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের (ডাব্লিউএফপি) সম্মাননা পাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি প্রাণিচিকিৎসা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মডেল লাইভস্টক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালমা সুলতানা।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তাদের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ‘নরম্যান বোরলগ অ্যাওয়ার্ড ফর ফিল্ড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন’ এর বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের এই তরুণ ভেটেরিনারিয়ানের নাম ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন।
এ ব্যাপারে সালমা সুলতানা মেডিভয়েসকে বলেন, বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্বিত। এটা আমার জন্য আনন্দের। আসলে প্রাণীর প্রতি ভালেবাসা, সাবর জন্য খাদ্য সহজলভ্য করতে এবং মান উন্নয়নে করার লক্ষ্যেই আমি কাজ শুরু করেছি। এ পুরস্কার আমাকে আরো উৎসাহিত করবে।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে হাজারো ক্ষুদ্র খামারিকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে, তাদের গবাদিপশুর জন্য চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা পৌঁছে দিতে যে ব্যতিক্রমী মডেল সালমা গড়ে তুলেছেন, তার স্বীকৃতিতেই এবারের পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন ১৩ অক্টোবর তাদের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের 'নরম্যান বোরলগ অ্যাওয়ার্ড ফর ফিল্ড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন'-এর বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের তরুণ ভেটেরিনারিয়ান সালমা সুলতানার নাম ঘোষণা করে। দেশে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে সালমা শুরু করেন তার স্বপ্নের প্রকল্প- মডেল লাইভস্টক ইনস্টিটিউট ঢাকা। মাঠ পর্যায়ে প্রাণী চিকিৎসায় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তার এ ইনস্টিটিউটে ১৪ মাস মেয়াদি 'অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড প্রডাকশন' ও 'পোলট্রি ফার্মিং' কোর্স করানো হয়। এ ছাড়া খামারিদের সচেতন করতে কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি প্রাণী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালও চালিয়ে আসছে মডেল লাইভস্টক।
২০১২ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) বিষয়ে স্নাতক শেষ করে ভারতের তামিলনাড়ুতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন সালমা সুলতানা। এরপর দেশে ২০১৪ সালে ফার্মাকোলজিতে মাস্টার্স করেন। ২০১৪ সালে মাস্টার্স শেষ করে সালমা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইনস্টিটিউটের অনুমোদনের জন্য। চাকরিজীবী বাবার জমানো টাকায় তার ‘মডেল লাইভস্টক ইনস্টিটিউটের’ যাত্রা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, মানুষের জন্য খাদ্য সহজলভ্য করতে এবং এর মান উন্নয়নে যারা কাজ করছেন, তাদের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর এ পুরস্কার দেয়। ১৯৮৬ সালে নোবেলজয়ী নরম্যান বর্লুগ ‘বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন।