করোনায় রেমডেসিভিরের প্রভাব খুব সামান্য: ডব্লিউএইচও
মেডিভয়েস ডেস্ক: করোনা রোগীদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভিরের খুব সামান্য কিংবা কোনো প্রভাবই নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনায় রেমডেসিভির ও হাইডক্সিক্লোরোকুইনসহ চারটি ওষুধের কার্যকারিতার ওপর এক গবেষণা পর এমন ফলাফল ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণালব্ধ এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ওষুধটির প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্সেস।
এক বিবৃতিতে গিলিয়াড সায়েন্সেস জানিয়েছে, ‘অন্যান্য গবেষণার সঙ্গে এই গবেষণার কোনো সামঞ্জস্য নেই।’ এ ছাড়া তারা উদ্বিগ্ন যে, ‘এই ফলাফল এখনও পিয়ার রিভিউ করা হয়নি।’
করোনা প্রতিরোধে অনেকাংশে কার্যকরের কথা উল্লেখ করে প্রথম দিকে রেমডেসিভির প্রয়োগ করেছেন চিকিৎকরা। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, সলিডারিটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্ভাব্য যে চারটি ওষুধের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে দেখেছে, সেগুলো হলো; ইবোলোর ওষুধ রেমডেসিভির, ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, অটো-ইমিউন ড্রাগ ইন্টারফেরন এবং মারণভাইরাস এইচআইভির দুটি ওষুধ লোপিনাভির ও রিটোনাভির।
করোনায় বেশ কার্যকরী স্বল্পমূল্যের স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসনকে অবশ্য এই ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত করেনি সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশ্বের ত্রিশটিরও বেশি দেশের ৫ শতাধিক হাসপাতালে ১১ হাজার ২৬৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর দেহে এই ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, রোগীর মৃত্যু ঠেকাতে কিংবা এটির ব্যবহারে হাসপাতালে বেশিদিন না থাকার ক্ষেত্রে এর বাস্তবিক কোনো প্রভাব নেই।
সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথম বুধবার বলেন, ইতোমধ্যে অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় জুনেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির/রিটোনাভিরারের ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে রেমডেসিভির ও ইন্টারফেরনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার কাজটি অব্যাহত রয়েছে।
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩