নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রফ পরীক্ষা শুরু ডিসেম্বরে

মেডিভয়েস রিপোর্ট: আগামী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রফেশনাল পরীক্ষা। তবে সংখ্যাধিক্যের কারণে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষা এক সঙ্গে নেওয়া হবে না। ডিসেম্বরে এক প্রফের পরীক্ষা শুরুর পর পর্যায়ক্রমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বাকি প্রফের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী (শাকিল) আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মেডিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। অনিয়মিতরা সংখ্যায় কম হওয়ায় তাদের চূড়ান্ত প্রফেশনাল পরীক্ষা এক সঙ্গে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নিয়মিত প্রফের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ডিসেম্বরে এক সঙ্গে সব প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এক প্রফের পরীক্ষা শুরুর পর পর্যায়ক্রমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে অন্য প্রফগুলোর পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
কোন প্রফের পরীক্ষা কোন মাসে নেওয়া হবে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের এই সহযোগী অধ্যাপক।
এ সময় ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিলের কাছে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রফের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আয়োজনের প্রেক্ষাপটে বিদেশি শিক্ষার্থীদের এক মাসে পূর্বে স্ব স্ব ক্যাম্পাসে অবস্থান নিশ্চিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠির বিষয়ে জানতে চান মেডিভয়েসের এ প্রতিবেদক।
জবাবে অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত ওই চিঠির বিষয়ে ডিন বলেন, ‘ভাষাগত কারণে এ চিঠি থেকে এক সঙ্গে সব পরীক্ষা নেওয়ার বার্তাই পাওয়া যায়। তবে করোনার পরিস্থিতি ও নিয়মিত প্রফের পরীক্ষার্থী অধিক হওয়ায় এক সঙ্গে তিন প্রফের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময়টা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগে ক্যাম্পাসে ফেরানোর উদ্দেশেই এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন প্রফের জন্য আলাদা আলাদা চিঠি দেওয়া সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলার বিষয়। এ কারণে একই চিঠিতে সব প্রফের বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যাতে এ আলোকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।’
