১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৩:৪৬ পিএম

‘করোনায় টেলিমেডিসিন সেবা স্বাস্থ্য খাতে একটি বিপ্লব’

‘করোনায় টেলিমেডিসিন সেবা স্বাস্থ্য খাতে একটি বিপ্লব’

মেডিভয়েস ডেস্ক: করোনাকালীন সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া টেলিমেডিসিন সেবায় স্বাস্থ্য খাতে কার্যত বিপ্লব ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মাঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ‘জয় বাংলা টেলিমেডিসিন অ্যাপ’ উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব টালমাটাল। অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। চিকিৎসকরা নিজের ও রোগীর কথা বিবেচনা করে এই মহামারি থেকে বাঁচতে চেম্বারে রোগী দেখা অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এই অবস্থায় সময়ের প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবায় নতুন ধারার সৃষ্টি হয়েছে–যেটা হলো, টেলিমেডিসিন সেবা। করোনাই মূলত এই পথ দেখিয়েছে। দেশে টেলিমেডিসিন সেবায় কার্যত বিপ্লব ঘটেছে।’  

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ‘জয় বাংলা টেলিমেডিসিন মোবাইল অ্যাপ’ এর মাধ্যমে রোগীরা চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞ হলেও করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আমাদের তেমন ছিল না। কারণ নিকট অতীতে বাংলাদেশ এ ধরনের ভয়াবহ মহামারীর মুখোমুখি হয়নি। মার্স, সার্স ও ইবোলার মতো মহামারির আঁচ বাংলাদেশে তেমন লাগেনি। করোনা পুরো বিশ্বের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। সমৃদ্ধ দেশগুলোও করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্যোগ বা মহামারির ভয়াবহতা কী রকম হতে পারে তা অনুমান করা সম্ভব নয়। আমরা কয়েকটা ঘূর্ণিঝড় থেকে এটি দেখেছি। করোনার ক্ষেত্রেও এটা সত্য। মহামারি বা দুর্যোগ মোকাবিলায় দরকার হোক বা না হোক সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকায় বিশ্ব ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথডে’র পথে হাঁটছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

এ সময় দেশ ডিজিটালাইজেসনে সরকারের প্রদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় এই সেবা প্রদান করা সম্ভব হতো না। এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা ও ঘোষণা পরবর্তী নানামুখী কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তির প্রায় সব খাতেই নিজেদের সংযুক্তি বৃদ্ধি করেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরসহ উপকমিটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এ সময় জয় বাংলা অ্যাপ দিয়ে কাজ শুরু করা হয়।

  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক