স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারি
লাইসেন্স নবায়নে ব্যর্থতায় বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স নবায়ন বা নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, রোববার রাত ১২টায় নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় আবেদনের সময় শেষ। এর মধ্যে যারা নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় আবেদন সম্পন্ন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশে জুলাই মাসের শুরুতে ভুয়া করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল হবার পরও, অর্থাৎ বিনামূল্যে সেবা দেয়ার জন্য সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পরেও রোগীদের কাছ থেকে বিল আদায় এবং লাইসেন্সবিহীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় সরকার।
এরপর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অনিয়ম বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে কোনটি সীলগালা, কোনটির কার্যক্রম বন্ধ এবং কোনটিকে জরিমানা করা হয়।
সে সময় দেখা যায়, পুরো দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের একটি বড় অংশের নিবন্ধন নেই। এর বাইরে লাইসেন্স নবায়ন করেনি এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যাও কম নয়। এরপর লাইসেন্স নবায়ন ও নিবন্ধনের জন্য স্বাস্থ্য খাতে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। গতকাল রোববার (২৩ অগাস্ট) সরকারের বেঁধে দেয়া সে সময়ের মেয়াদ শেষ হয়।
ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, যাদের আদৌ লাইসেন্স নেই, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, অর্থাৎ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি যাদের লাইসেন্স আছে, কিন্তু নবায়ন করেনি তাদের প্রয়োজনে কিছুটা সময় দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা আবেদন করলেই একমাত্র সেটি সম্ভব।
তিনি জানান, রোববারের মাঝরাতের মধ্যে কতগুলো হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন বা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি, তা বোঝা যাবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এরপরই নির্ধারণ করা হবে, কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে ম্যানুয়ালি লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া থেকে সরকার অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া শুরু করে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাড়ে ১৭ হাজার ২৪৪টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের মত প্রতিষ্ঠান ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিবন্ধন ও লাইসেন্স পুনঃনবায়ন ছাড়াই চলছিল বহু প্রতিষ্ঠান।
কী বলছেন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকেরা:
বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দশ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
সরকারি হাসপাতালে স্থান না পাওয়ার কারণে অনেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়। সরকারি হাসপাতালে স্থান না পাওয়ার কারণে অনেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়।
সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকার যেসব শর্ত দিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো পূরণ করা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠিন।
সেজন্য রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে একটি বৈঠক করে তারা সরকারি নিয়মকানুন কিছুটা শিথিলের আবেদন জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
-
২৯ মে, ২০২২
-
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
-
২৪ অগাস্ট, ২০২০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারি
লাইসেন্স নবায়নে ব্যর্থতায় বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
-
১৯ অগাস্ট, ২০২০
-
০৯ অগাস্ট, ২০২০
-
০৮ অগাস্ট, ২০২০
-
১৮ জুলাই, ২০২০
