২০ বছর বয়সেই তিনি মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও শিশু বিশেষজ্ঞ!

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সোহাগ ইসলাম বাবু, বয়স মাত্র ২০ বছর। এ বয়সেই তিনি রোগী দেখছেন মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও শিশু বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে। এরকম অলৌকিক চিকিৎসকের খোঁজ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে বেড়িয়ে আসে ভুয়া চিকিৎসকের প্রতারণার চিত্র। অবশেষে নিজেই দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৮ জুলাই) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি হাটের একটি মার্কেটের পাশে এই ঘটনাটি ঘটে।
সাজাপ্রাপ্ত সোহাগ ইসলাম বাবু (২০) জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কিসমত দৌলতপুর গ্রামের প্রয়াত খলিলুর রহমানের ছেলে। এসময় দোষ স্বীকার করে ভুয়া চিকিৎসক সোহাগ ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমি অপরাধ করেছি। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছি।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দেশে করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার আগে সোহাগ ইসলাম বাবু দিনাজপুরে এক চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। করোনাকালে তিনি কাজ হারান। করোনা শুরু হওয়ার পর সোহাগ নিজেকে ডায়বেটিস, মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে সদর উপজেলার বড় খোচাবাড়ি হাটে চেম্বার খুলে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। এভাবেই তিন মাস ধরে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে মানুষদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন সোহাগ।
ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তাঁর ব্যাগ ঘেঁটে রোগের লক্ষণ ও তার চিকিৎসার একটি তালিকা পাওয়া গেছে। সোহাগ ইসলাম তা দেখে দেখে রোগীদের চিকিৎসা দিতেন। ব্যবস্থাপত্র ও ভিজিটিং কার্ডে তাঁর একাধিক ডিগ্রি দেওয়া থাকলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় তিনি তার সপক্ষে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার জন্য সোহাগ ইসলামকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত সোহাগ ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
-
২৩ জুন, ২০২২
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
-
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
-
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
২১ ডিসেম্বর, ২০২০
-
০২ ডিসেম্বর, ২০২০
এমবিবিএসের ভুয়া রেজিস্ট্রেশন প্রদান
বিএমডিসি রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
-
০৬ নভেম্বর, ২০২০
-
১৯ অক্টোবর, ২০২০
জামাই-শ্বশুর মিলে ভুয়া চিকিৎসা
তৃতীয় শ্রেণি পাস করেই ‘বিশেষজ্ঞ’ চিকিৎসক
-
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
