যে কারণে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মেডিভয়েস ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি নভেল করোনাভাইরাসের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণার পর সংস্থাটি এ মত দিয়েছে।
নতুন গবেষণায় বলা হয়, শুধুমাত্র হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে নির্গত ড্রপলেট থেকেই নয়, বরং বাতাসেও করোনা সংক্রমণ ছড়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) এমন তথ্য দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাতাসে ভেসে থাকা ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে তাদের গবেষণাটি গ্রহণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণও পেয়েছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা বলছেন, মানুষের ভিড়, বন্ধ ঘর, যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই, সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর তথ্যপ্রমাণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়, জনসমাগমযুক্ত স্থানে বাতাসে লম্বা সময় ধরে থাকতে পারে এই ভাইরাস।
বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে এবং করোনায় আক্রান্ত ও লক্ষণবিহীন মানুষের মাধ্যমে ছড়াবে সবচাইতে বেশি। তাই দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকা বিরক্তিকর হলেও সামগ্রিকভাবে মাস্ক পরা ভীষণ জরুরি।
সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, যেসব দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, সেসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
এতে বলা হয়েছে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় এমন দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রতি সপ্তাহে ৪৩ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এমন সব দেশে করোনায় মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ বেড়েছে ২.৮ শতাংশ পর্যন্ত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের অর্ধেক মানুষই উপসর্গহীন ব্যক্তিদের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। তাই করোনায় আক্রান্ত হয়েও লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়া ব্যক্তিদের বলা হচ্ছে অ্যাসিমটোম্যাটিক পিপল।
গবেষকরা বলছেন, এমন মানুষ আমাদের আশপাশেই রয়েছে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক।
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩