চিকিৎসার চেয়ে অবকাঠামো ও ক্রয়ে খরচ বেশি
মেডিভয়েস ডেস্ক: স্বাস্থ্য খাতের খরচের বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একদিকে বাজেটে যেমন বরাদ্দ কম, অন্যদিকে এই বরাদ্দের যতটা না চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়, তার চেয়ে বেশি খরচ হয় ভৌত অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ ও বেতন-ভাতার পেছনে।
১০ জুনের (বুধবার) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের মোট বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার মধ্যে ১৩ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা চলে গেছে পরিচালন খাতে। এর মাত্র এক চতুর্থাংশের মতো বরাদ্দ হচ্ছে ওষুধ ও সরঞ্জাম কেনার পেছনে। বাকি অর্থ চলে যাচ্ছে বেতন-ভাতায়, যদিও প্রয়োজনের তুলনায় এখনো চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা অনেক কম।
জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলছেন, ''সক্ষমতার অভাব, কিছুটা দুবৃর্ত্তায়ন আছে, একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে যারা এগুলো অপচয় করে -সবকিছু মিলে আমূল সংস্কার দরকার। সংস্কার, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ছাড়া বরাদ্দ বাড়ালেও স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন আসবে না।'' তিনি বলছেন।
''অবকাঠামো কিছু আছে, কিন্তু সেখানে কাজ হচ্ছে না। রোগীর চাপ অনেক বেশি, কিন্তু তাদের জন্য মানসম্পন্ন চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। রোগীর জন্য যে বরাদ্দ, সেটাও কিন্তু খুবই কম।''
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ৫১,৩১৬টি। আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫,০৫৫টি, যেখানে মোট শয্যার সংখ্যা ৯০,৫৮৭টি।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুমিত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ।
সেই হিসাবে প্রতি ১,১৫৯ জন ব্যক্তির জন্য হাসপাতালে একটি শয্যা রয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলছেন, ''যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়, সেটাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয় না। সেটা মূলত ভৌত অবকাঠামো, প্রশাসনিক ব্যয়, বেতন-ভাতা ইত্যাদিতে চলে যায়। প্রকৃতপক্ষে রোগীর সেবার জন্য বরাদ্দ খুবই কম।
''একদিকে বরাদ্দ কম, অন্যদিকে বাস্তবায়নের হার কম, অন্যদিকে ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা- এই সমস্যাগুলোর যদি সমাধান না হয়, তাহলে স্বাস্থ্যখাতের যে দৈন্যদশা, তা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারবো না,'' বলছেন ফাহমিদা খাতুন।
-
৩১ জুলাই, ২০২৩
-
২৬ জুন, ২০২৩
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছর
বিএসএমএমইউর ৭৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন
-
২১ জুন, ২০২৩
-
০১ জুন, ২০২৩
-
১৯ জানুয়ারী, ২০২৩
-
১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
-
১৫ নভেম্বর, ২০২২