০৯ জুন, ২০২০ ১০:১৭ এএম

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত ২ সচিবের বদলি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত ২ সচিবের বদলি

মেডিভয়েস রিপোর্ট: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের পর দুই অতিরিক্ত সচিবকে বদলি করা হয়েছে। বদলিকৃতরা হলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের হাসপাতাল অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম ও ওষুধ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইসমাইল হোসেন।

সোমবার (৮ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে সিরাজুল ইসলামকে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও ইসমাইল হোসেনকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চিকিৎসকদের মাস্ক কেনায় কেলেঙ্কারি ছাড়াও চিকিৎসা ব্যবস্থা ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নির্দেশনা নিয়ে সমলোচনা ওঠে। এতে বিভিন্ন মহল থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসেবা সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে গত ৪ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়া হয়। আসাদুলকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নতুন সচিব পদে নিয়োগ পান ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান।

এর আগে, বছরের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আরিফুর রহমান সেখকে।

অভিযোগ আছে, বিভিন্ন হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়মের পেছনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারো কারো যোগসাজশ রয়েছে। যারা কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেন। এসব কারণেই যন্ত্রপাতির বাজারমূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করার সুযোগ পান ঠিকাদাররা। অপব্যয় হয় সরকারি অর্থের। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের আরও নানাখাতে আর্থিক অনিয়মের সঙ্গেও তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাবেক এপিএস আরিফুর রহমান সেখের বিরুদ্ধে এমন সুস্পষ্ট অভিযোগ পায় দুদক। সেই সুবাদে গত ১৪ জানুয়ারি দুদকে তলব করা হয় তাকে। এর পরদিনই মন্ত্রীর এপিএস পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। সেই থেকে এই পদটি শূন্য আছে। কাউকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

আরিফুর রহমানকে তলব করে দুদকের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়াসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। ওই বিষয়ে বক্তব্য দিতে তাকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হয়। পরে সময় বাড়িয়ে নিয়ে দুদকে হাজির হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দুর্নীতি-অনিয়ম ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে।

  ঘটনা প্রবাহ : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত