বিশ্ব হয়তো কখনোই করোনামুক্ত হবে না: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা
মেডিভয়েস ডেস্ক: করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীকে এক রকম স্থবির করে দিয়েছে। সকলের একটাই প্রশ্ন কবে পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হবে? কবে পৃথিবী থেকে নির্মুল হবে করোনা? তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা করছে, পৃথিবী থেকে কোনদিনও করোনা নির্মূল নাও হতে পারে। বুধবার জেনেভায় নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন সংস্থাটির ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান।
বুধবার (১৩ মে) জেনেভায় নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা করছে, পৃথিবী থেকে কখনোই করোনা নির্মূল নাও হতে পারে। প্রতিষেধক যদি পাওয়াও যায়, তবুও এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
করোনার টিকা উদ্ভাবনে বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে একশটিরও বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে জানিয়ে মাইক রায়ান বলেন, হামের মতো অন্য রোগগুলোর টিকা উদ্ভাবনের পরও সেগুলো নির্মূল করা যায়নি। এইচআইভিও নির্মূল হয়নি কিন্তু মানুষ ভাইরাসটির সাথে মানিয়ে নিয়েছে। এই ভাইরাসটি হয়তো কেবল বিশ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে আরেকটি আঞ্চলিক মহামারিতে পরিণত হতে যাচ্ছে, আর হয়তো কখনোই তা নির্মূল হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে উদ্যোগ নেওয়া হলে ভাইরাসটি এখনও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস। তিনি বলেন, ‘কৌশল আমাদের হাতে, দায়িত্ব সবার আর বিশ্বব্যাপী এই মহামারি অবসানে আমাদের সবারই অবদান রাখা উচিত।’ এসময় সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়াও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এপিডেমিওলোজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরকোহব বলেন, ‘আমাদের মানসিকতার মধ্যে এটা নিয়ে নেওয়া দরকার যে, এই মহামারির অবসান হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারার এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে তাদের লকডাউনের কড়াকড়িতে শৈথিল্য আনছে এবং আরো অনেক দেশের নেতাই তাদের নিজ নিজ অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দেয়ার চিন্তা করছে।
এ অবস্থায় দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করার কোনও উপায় নেই বলে সতর্ক করেছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস। তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করতে পারে। তবে এখনও আমাদের সুপারিশ হলো যে কোনও দেশেরই সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’ ড. মাইক রায়ান বলেন, ‘কেউ কেউ যাদুকরী চিন্তাভাবনায় মনে করছেন লকডাউন যথাযথভাবে কাজে এসেছে আর তা প্রত্যাহার হলেও ভালোভাবে কাজ করবে। এটি ভয়ানক সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজারের অধিক, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪৩ লাখ। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন প্রায় সাড়ে ১৫ লাখের বেশি মানুষ। সংক্রমণ রোধে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ কয়েকমাস যাবত কার্যত গৃহবন্দী রয়েছে। থমকে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি।
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩