দূষণে শীর্ষে ঢাকা, ঘরে থাকার পরামর্শ

মেডিভয়েস ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বায়ু দূষণ শহরের তালিকায়র আবারও শীর্ষে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম। ঢাকার পর দ্বিতীয় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও তৃতীয় দূষিত শহরের তালিকায় আছে পাকিস্তানের লাহোর।
বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এয়ার ভিজ্যুয়ারের তথ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
সকাল থেকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার বায়ুমান দেখা গেছে ৪০৮ স্কোর। সংস্থাটির তালিকায় ঢাকার অবস্থান দূষণের শীর্ষে দেখা যায়।
তাদের তথ্য মতে আজ ঢাকার বায়ুতে সবচেয়ে ক্ষতিকর অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা PM2.5 এর পরিমাণ রয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৩৪২.২ মাইক্রোগ্রাম। এমন পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা, সাইকেল বা মোটরসাইকেল না চালানোর পরামর্শ গবেষকদের। একান্ত প্রয়োজনে বের হলেও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মানমাত্রায় ৫০ একিউআই পর্যন্ত বায়ুমান স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ ১৫০ মাইক্রোগ্রম পর্যন্ত PM2.5 সহ্য করতে পারে মানুষ। আর স্বাভাবিক মাত্রার সাত গুণ উপরে অবস্থান করছে ঢাকার বায়ুমান।
এর আগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ছিল ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে ঢাকার স্কোর ছিল ২৪১। যাতে এ শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর, আফগানিস্তানের কাবুল এবং নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩২৮, ২৭৯ এবং ২৬৫ স্কোর নিয়ে এ তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে ছিল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ‘বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি’ তথ্য প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারত ও বাংলাদেশে। আর এই দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বায়ুতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান আছে, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক উপাদান হচ্ছে পিএম ২.৫। প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে বলা হয়েছে।
