পুষ্টিহীন শিশুদের জন্য আইসিডিডিআর,বির যুগান্তকারী উদ্ভাবন

মেডিভয়েস রিপোর্ট: পুষ্টিহীনতা বা স্বাভাবিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পরও অপুষ্টিতে ভোগা শিশূদের জন্য যুগান্তকারী উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। প্রতিষ্ঠানটির পুষ্টি ও ক্লিনিক্যাল সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের নেতৃত্বে একদল গবেষকের অনুসন্ধানে এ সফলতা উঠে এসেছে।
তাদের দাবি, অল্প খরচের ও সহজলভ্য একটি খাদ্য পরিপূরক শিশুদের খাওয়ালে এ অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটতে পারে।
সম্প্রতি আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে এ খবর জানানো হয়েছে।
আইসিডিডিআর,বির একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, পেটে উপকারী মাইক্রোবায়োটা বা ব্যাকটেরিয়ার অপরিপক্বতার কারণে এ সমস্যা হয়। কলা, সয়া, চাইনিজ বাদাম এবং ছোলা দিয়ে অল্প খরচের সহজলভ্য একটি খাদ্য পরিপূরক শিশুদের খাওয়ালে এ অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটতে পারে। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ জীবন বাঁচানো খাবার স্যালাইনের মতোই এই খাদ্য পরিপূরকটিও ঘরে বসেই তৈরি করা যাবে।
এক দশকের দীর্ঘ গবেষণা এবং ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, শিশুদের নির্দিষ্ট কিছু সহজলভ্য খাবারের বিশেষ মিশ্রণ খাওয়ালে সেই অপরিণত ব্যাকটেরিয়া পরিণত হয়। সেগুলো শিশুদের শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে ও ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ফলে শিশুদের অপুষ্টি দূর হয়। এভাবে শিশুদের ঠিক মতো বেড়ে না ওঠা, মস্তিষ্কের বিকাশ না হওয়া, উচ্চতা অনুযায়ী যথাযথ ওজন না হওয়ার মতো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
অপরিণত ব্যাকটেরিয়াই যে অপুষ্টিজনিত সমস্যার জন্য দায়ী- এটি একটি নতুন উদ্ভাবন, যেটা ভবিষ্যতে প্রচলিত অপুষ্টি দূর করার কার্যক্রমগুলোকে আমূল বদলে দিতে পারে।
আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে তীব্র অপুষ্টির শিকার সারে চার লাখ শিশু এবং প্রায় দুই কোটি শিশু মাঝারি মাত্রার অপুষ্টির শিকার।
ড. তাহমিদ আহমেদ এ গবেষক দলের প্রধান অনুসন্ধানকারী। এ দলে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গবেষক অধ্যাপক জেফরি গর্ডনও রয়েছেন।
উদ্ভাবন সক্ষমতা বৃদ্ধি
সেবা বিভাগের ৩৫ কর্মকর্তা নিয়ে দু‘দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন
উদ্ভাবন সক্ষমতা বৃদ্ধি
সেবা বিভাগের ৩৫ কর্মকর্তা নিয়ে দু‘দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন
