
অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক
স্কিন অ্যান্ড সেক্সুয়াল মেডিসিন স্পেশালিস্ট
এফসিপিএস, এফআরসিপি (যুক্তরাজ্য), ডিডিভি (অস্ট্রিয়া)
১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০৩:৫৪ পিএম
সেদিন আমরা সত্যিই এক অনন্য ইতিহাস গড়ি

১৯৮৪ সালের দিকের ঘটনা। একদল উশৃঙ্খল ছাত্র রাজশাহী মেডিকেলের মাননীয় অধ্যক্ষকে মারাত্মক হেনস্থা করেন। ছাত্র নামধারী সেই দুষ্কৃতিকারীর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অধ্যাপক মাইদুল ইসলামে সভাপতিত্বে ১৯৮৪ সালের ২৩ জুলাই এক সাধারণ সভায় টিচার্চ এসোসিয়েশন গড়ে ওঠে আধ্যাপক নাজিম উদ্দিন ও আমার (ডা. মজিবুল হক) নেতৃত্বে।
তখন সারা বাংলাদেশ থেকেই আমরা সমর্থন সূচক পত্র পাই। তবে অরাজকতার চাপ ও অসুস্থতায় নাজিম উদ্দিন স্যার পদ ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন স্থানীয় এবং প্রভাবশালী। আমি একেবারেই সুদূর সিলেটের সন্তান। তবুও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে লেগে থাকি।
ঢাকায় অধ্যাপিকা ফিরোজা বেগমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মেডিক্যাল শিক্ষা ফেডারেশন এক সভায় সারা বাংলাদেশের সব শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে আমাদের সমর্থন যোগান। আমরা ২/৩ মাস কলেজ বন্ধ রাখি। তারপর আমি এবং অধ্যাপক সানোয়ার (বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে কর্মরত) জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে অরাজকতা, ভীতি প্রদর্শন নিয়ে অনুযোগ করি। তারপর খুবই শক্ত ব্যবস্থা নেন তিনি। শেষ পর্ষন্ত শিক্ষা পরিচালক আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক আবুল হোসেন ঢাকা থেকে আসতে বাধ্য হন, আমাদের ঢাকা নিয়ে যান। সাস্থ্য সচিবের একান্ত আবেদনে একটা জয়জয়কার অবস্থায় কলেজ খুলি।
অধ্যাপক খালেক স্যার, সকল সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, ডাক্তার ডা. রফিকুল (কমিউনিটি মেডে) ডা. মোতালেবের সাহসী তৎপরতা মনে পড়ে। আমারা সত্যিই এক অনন্য ইতিহাস গড়ি।
এখন বুঝি, চিকিৎসকরা দলীয় ধামাধরা হয়ে পড়লে ইচ্ছা, অনিচ্ছায় দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্মক্ষমতা ও সাহস হারান। (আমি অবশ্য এমবিবিএস পাশ করার পরই মাত্র ২৭ বছর বয়সে বৃহত্ত্বর সিলেট বিমএ’র প্রথম সাধারন সম্পাদক নির্বচিত হই। বিএমএটি ছিলো বৃহত্ত্বর সিলেট জুড়ে।)
আমারে অনেক দিয়েছ প্রভু।