ওয়েবার সিনড্রোম

জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার ওয়েবার ১৮৬৩ সালে সর্বপ্রথম ওয়েবার সিনড্রোমের কথা বলেন। বিজ্ঞানী ওয়েবার আরো কিছু সিনড্রোম আবিষ্কার করেন। তবে সে সব সিনড্রোমের সাথে আলোচ্য লেখাটির সিনড্রোমের তেমন মিল নেই।
ব্রেনকে ৩টি অংশে ভাগ করা হয়। যথা :
১। অগ্রমস্তিষ্ক,
২। মধ্যমস্তিষ্ক এবং
৩। পশ্চৎমস্তিষ্ক।
এদের মধ্যে মধ্যমস্তিষ্কে ষ্ট্রোক হলে ওয়েবার সিনড্রোম দেখা দেয়। ব্রেনকে যে ধমনী রক্ত সরবরাহ করে তার নাম সেরেব্রাল ধমনী। ৩ ধরনের সেরেব্রাল ধমনী আছে। এন্টিরিয়র, মিডিল এবং পোস্টেরিওর সেরেব্রাল। নামগুলো সাধারণ পাঠকদের কাছে একটু অদ্ভুত লাগবে। পোস্টেরিওর সেরিব্রাল ধমনীর একটি শাখায় রক্ত জমাট বেঁধে গেলে ওয়েবার সিনড্রোম হয়।
ওয়েবার সিনড্রোমের ক্ষেত্রে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছে একদিক দূর্বল হয়ে যাওয়া। দেহের একদিক দূর্বল হয়ে যায়। অপর দিকের চোখের মাংসপেশীতে যে স্নায়ু থাকে সেদিকেও পক্ষাঘাত হয়। তখন চোখের পাতা পড়ে যায় এবং পিউপিল বা চোখের মনি বড় হয়ে যায়। রোগী অনেক সময় একটার জায়গায় দু’টি দেখে। ভালো একজন নিউরোলজিস্ট রোগী দেখেই ওয়েবার সিনড্রোম ডায়াগনসিস করেন। তবে ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিসের সাথে নিশ্চিত হবার জন্য ব্রেন স্ক্যান করা হয়।
ওয়েবার সিনড্রোমের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। ষ্টোকের যেসব চিকিৎসা আছে তাই এখানে দেখা হয়। পরিণতি নির্ভর করে কতখানি এলাকাজুড়ে ষ্ট্রোক হয়েছে এবং অন্যান্য যেসব কারণে স্ট্রোক হচ্ছে সেসব অবস্থার উপর । তবে এমন হলে অবশ্যই একজন নিউরোলজিষ্টের শরণাপন্ন হতে হবে।
